মুখ্যমন্ত্রী দানবীর, মানবী, কিন্তু তিনি কৃষকদের জন্যে কিছু করবেন না : শুভেন্দু

আমাদের ভারত, হুগলী, ১৪ ডিসেম্বর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কৃষক আন্দোলনের কথা বলে রাজ্যের ক্ষমতায় এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী না কি দানবীর, মানবী। যে যা চায় তিনি নাকি সব করে দেন। কিন্তু, তিনি কৃষকদের জন্যে কিছু করবেন না। মঙ্গলবার সিঙ্গুরে সাত দফা দাবিতে একটি অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিয়ে এভাবেই মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

সিঙ্গুরে বিজেপির অবস্থান ধর্নামঞ্চ নিয়ে কয়েকদিন ধরে পুলিশের সঙ্গে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। সেই অশান্তির মেঘ কাটিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ধর্নামঞ্চ প্রস্তুত হয়। এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সিঙ্গুরের রতনপুর থেকে একটি মিছিল শুরু হয়। প্রায় চার কিলোমিটার হেঁটে টাটার কারখানা অর্থাৎ গোপালনগরের কাছে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়। সেখানেই একটি মঞ্চ তৈরি হয়। সেই মঞ্চেই এদিন হাজির ছিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, রাহুল সিনহা, অগ্নিমিত্রা পাল সহ বিজেপির এক ঝাঁক রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতা নেত্রীরা।

এদিন সিঙ্গুরের ওই মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, রাজ্যের দুশো ভাগ কাজই মুখ্যমন্ত্রী করে দিয়েছেন। এখন আরও ভালো কাজ করেছেন, সেটা হল মদের দাম কমিয়ে দিয়েছেন। আর পাড়ার মোরে মোরে ২৮ টাকা দামের নতুন মদ চালু করেছেন। তাই নবান্নের চৌদ্দতলাটা নাড়াতে হবে। তা না হলে আমদের অন্নদাতা কৃষরা বাঁচবে না।

এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্রয়োজন হলে আমি সিঙ্গুর থেকে নবান্ন অভিযানের ডাক দিচ্ছি। কৃষকরা দুদিন ধরে হাঁটতে হাঁটতে সেখানে যাবেন। কারণ, এই সিঙ্গুরের জমিতে না হয় সর্ষে, না হয় আলু। না হয়েছে টাটার কারখানা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিরোধী দলনেতা বলেন, উনি রাজ্যের নেত্রী বটে কিন্তু শিল্প ভাগান গুজরাটে। এই নেত্রীর বিরুদ্ধেই আমাদের লড়তে হবে।

এদিন ওই মঞ্চে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা বলেন, অনেকের মনে প্রশ্ন আসবে আপনারা কেন এখানেই অবস্থান করছেন। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কু ইতিহাস তৈরি করেছিলেন সেটাকে মনে করাতেই আমরা এখানে জড়ো হয়েছি। মমতা দেবী সিঙ্গুরে এমন সর্ষে ছড়িয়েছেন যার ফলে শিল্প সহ কৃষক ও চাষকে তাড়িয়ে দিয়েছেন।

এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, রাজ্যে কৃষকরা সমস্যায় রয়েছেন আর দিদি গোয়ায় গিয়েছেন। মানুষ আমাদের বিশ্বাস করেছেন বলেই আমরা জিতেছি। তাই বিরোধী হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সমস্ত মানুষের কষ্টের কথা তুলে ধরা। আমরা বিধানসভার মধ্যে তুলছি, লোকসভায় তুলছি, এমনকি সিঙ্গুরের রাস্তায় উপস্থিত হয়ে গরিব মানুষের অধিকারের জন্যে লড়াই করতে হাজির হয়েছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *