বগটুই কাণ্ডে ধৃত আনারুল হোসেনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠালেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের মুখ্য অতিরিক্ত দায়রা বিচারক

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বীরভূম, ৮ এপ্রিল: বগটুই কাণ্ডে ধৃত আনারুল হোসেনকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠালেন রামপুরহাট মহকুমা আদালতের মুখ্য অতিরিক্ত দায়রা বিচারক। তাকে ২১ এপ্রিল পুনরায় আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে আনারুল সহ ছয় জনের পলিগ্রাফি টেস্টের সিবিআইয়ের আবেদনের শুনানি স্থগিত রেখেছেন বিচারক।

প্রসঙ্গত, ২১ মার্চ বোমা মেরে খুন করা হয় আনারুল হোসেনকে। তারই বদলা নিতে নয় জনকে পুড়িয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পুড়িয়ে মারার ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনের কর্তব্যে অবহেলার কারণে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে ২৪ মার্চ তারাপীঠ থেকে আনারুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতদিন পুলিশ হেফাজতে ছিলেন তিনি। শুক্রবার তাকে ফের আদালতে তোলা হয়। এদিন কলকাতা থেকে আসা আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা আনারুলের হয়ে শওয়াল করেন। এদিন বিচারক আনারুলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

আনারুলের আইনজীবী অনির্বাণ গুহঠাকুরতা বলেন, “আমরা আনারুলের জামিনের আবেদন করেছিলাম। আমরা আদালতকে জানিয়েছিলাম পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন আনারুলের একটি মোবাইল সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে। কিন্তু মোবাইলের কল সংরক্ষণ করার যে নিয়ম রয়েছে সেটা সিবিআই মানেনি। তাছাড়া আনারুলের অনুমতি ছাড়াই পলিগ্রাফি পরীক্ষার আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। আমরা তার বিরোধীতা করেছি। আদালত দ্বিতীয় দায়রা বিচারককে প্রত্যেকের পলিগ্রাফি পরীক্ষার জন্য পৃথক পৃথক ভাবে মতামত নেওয়ার জন্য বলেছেন। করো অনুমতি ছাড়া পলিগ্রাফি পরীক্ষা করা যায় না। আদালত আমাদের আবেদনকে মান্যতা দিয়েছে। সেই সঙ্গে আনারুল যেহেতু গণ্যমান্য ব্যক্তি সেই জন্য তাকে আইন অনুযায়ী বিশেষ সুবিধা দেওয়ার আবেদন জানিয়েছি”।

এদিকে এদিন কলকাতা হাইকোর্ট ভাদু শেখ হত্যার মামলাও সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে।

এবিষয়ে ভাদুর স্ত্রী টেবিলা বিবি বলেন, “আদালত সিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে। তারাই তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক। কিন্তু আমার বাবা, ভাইদের বিনাদোষে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। তাদের জামিনের ব্যবস্থা করুক”। সিবিআইয়ের পাশাপাশি বীরভূম জেলা পুলিশের তদন্তেও আস্থা প্রকাশ করেছেন টাবিলা বিবি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশের উপর আমার আস্থা রয়েছে। দু’জনেই তদন্ত করুক। আমি চাই খুনিদের শাস্তি”।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *