আমাদের ভারত, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৩০ জুন: লকডাউনে অসহায় মানুষের অসুস্থ্যতার সুযোগ নিয়ে লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ ভিন জেলার যুবকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তকে লাইট পোস্টে বেঁধে ও রাস্তায় ফেলে গণধোলাই দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর থানার অন্তর্গত বিড়াল ধামনগর গ্রামে। অভিজুক্তের নাম সৌরভ বিশ্বাস। এ বিষয়ে বারুইপুর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন প্রতারিতরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত যুবক মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের বাসিন্দা। সৌরভ বিশ্বাস নাম করে চলত প্রতারণা চক্র। অভিযুক্ত সৌরভ বারুইপুর টংতলার কাছে একটি বাড়িতে বছর খানেক ধরে ঘর ভাড়া নিয়ে একাই থাকতো। প্রতারিতদের অভিযোগ, দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে স্থানীয় বাসিন্দা আরতি নস্কর তার অসুস্থ শ্বশুরের চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে দেখানোর কথা ভাবছিলেন। সেই সময় ঐ যুবক নিজেকে পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকের পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা ঐ পরিবারের থেকে হাতিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি তাদের পরিবারের সমস্ত সদস্যের অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে ঘরের চাবি নকল করে আলমারি থেকে সোনার গহনা ও নগদ টাকা হাতানোর অভিযোগ তোলেন ঐ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
খোয়া যাওয়া সোনার অলংকারের আনুমানিক বাজার মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা বলে দাবি আরতির। পাশাপাশি, স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামে একই ভাবে বহু মানুষের কাছে ঐ ব্যক্তি নিজেকে ডাক্তারের পরিচয় দিয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়েছেন বলেও খবর পান এই এলাকার মানুষজন। এরপরেই এ বিষয়ে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন তারা। কিন্তু এদিন প্রতারণার শিকার বেশকিছু মানুষ তার কাছে পাওনা টাকা ফেরত চাওয়ায় অভিযুক্তের কথাবার্তায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তখনই তাকে মারধর করে পাড়ার রাস্তায় বিদ্যুতের খুঁটির সাথে বেঁধে মারা হয়।