গ্রেফতারের ৬০ দিন পরেও হয়নি চার্জশিট জমা, জলপাইগুড়ির দম্পতির মর্মান্তিক পরিণতির ঘটনায় যুক্ত অভিযুক্তরা পাচ্ছে জামিন

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৫ জুলাই: গ্রেফতারের পর ৬০ দিন পার হয়ে গেলেও চার্জশিট জমা করতে পারেনি পুলিশ। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত সময় চেয়ে আদালতে আবেদনও করেননি তদন্তকারি পুলিশ অফিসার বলে অভিযোগ। এর জেরে জলপাইগুড়ির দম্পতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে একের পর এক অভিযুক্তরা জামিন পেয়ে যাচ্ছেন।

যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সন্দীপ ঘোষের পর জামিন পেয়েছেন আরও এক অভিযুক্ত সোনালী বিশ্বাস। সোনালী বিশ্বাসের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত জানান, যেহেতু পুলিশ ৬০ দিনের মধ্যে আদালতে চার্জশিট জমা করতে পারেননি, সেই কারণে সিজেএম আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মহম্মদ জাফর পারভেজ জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছেন। এদিকে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় এখনও পলাতক। স্বাভাবিক ভাবে অভিযুক্তদের জামিন হওয়ায় পুলিশের তদন্ত নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

১ এপ্রিল জলপাইগুড়ি শহরের পান্ডাপাড়া রোডের বাসিন্দা সুবোধ ভট্টাচার্য তাঁর স্ত্রী পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান অপর্না ভট্টাচার্যের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তদের লিখে যাওয়া সুইসাইড নোটে জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃভমূল কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও মনোময় সরকার সোনালী বিশ্বাসের নাম উঠে আসে। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে সোনালী বিশ্বাসের স্বামী দিব্যেন্দু বিশ্বাসকেও এই ঘটনায় জড়িত বলে জানায় পুলিশ। ১০ মে সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১২ মে গ্রেপ্তার হয় সোনালী। পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০৬ ধারায় মামলা করে। এক্ষেত্রে আইন অনুসারে গ্রেপ্তারের ৬০ দিনের মধ্যে তদন্ত করে চার্জশিট জমা করার নিয়ম থাকলেও পুলিশ তা করতে পারেনি। যে কারণে আইন অনুসারে সন্দীপ ও সোনালীর জামিন হয়।

অভিযুক্তদের পক্ষের আইনজীবী সন্দীপ দত্ত বলেন, চার্জশিট নির্দিষ্ট সময়ে জমা করতে না পারলেও পুলিশের তদন্তকারী অফিসারকে অতিরিক্ত সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করেননি। যে কারণে সোনালী বিশ্বাস আদালত থেকে স্ট্যাটুইটারি বেলে মুক্ত হয়েছেন।”

অন্যদিকে মূল অভিযুক্ত সৈকত চট্টোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তিনি বলেন,”সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *