আমাদের ভারত, ১৮ এপ্রিল : করোনার মতো মহামারী সুযোগ নিয়ে ভারতে বিনিয়োগ করার নামে অসংগত সুবিধা নিতে পারে সুবিধাবাদী চিন। এই আশঙ্কা থেকেই প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সংক্রান্ত নিয়মে বদল আনছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রক থেকে একথা জানানো হয়েছে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়ে। সেখানে বলা হয়েছে, এবার থেকে ভারতের প্রতিবেশী যে কোনও দেশ সরাসরি এখানে বিনিয়োগ করতে পারবে না। তাকে আগে সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হবে।
দুটি পদ্ধতিতে কোন বিদেশী কোম্পানি ভারতে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ করতে পারে। তার মধ্যে একটি অটোমেটিক রুট অর্থাৎ সে ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নিতে হয় না। অপরটি গভর্মেন্ট রুট। এক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি নিয়েই বিনিয়োগ করতে হয়। এর আগে শুধুমাত্র বাংলাদেশ, পাকিস্তান থেকে বিনিয়োগ করতে গেলে সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হতো। কিন্তু এবার থেকে ভারতের সব সীমান্তের ওপারে যে কয়েকটি দেশ আছে তাদের সকলকেই সরকারের কাছে অনুমতি নিতে হবে বিনিয়োগ করতে গেলে।
মহামারীতে আর্থিক অবস্থার সুযোগ নিয়ে দেদার বিনিয়োগ করে আধিপত্য বাড়াতে চাইছে চিন, বলে মত বিশেষজ্ঞদের। তাই এবার বিনিয়োগ নীতির পরিবর্তন করে চিনের আগ্রাসনকে আটকালো কেন্দ্র।
করোনার সুযোগে কোনো সুবিধাবাদী যাতে ভারতের কোম্পানি কিনে নিতে না পারে তার জন্য এই এফডিআই সংক্রান্ত নিয়ম বদল করা হলো।
ভারতের সীমান্তের ওপারে যে দেশগুলো অবস্থিত সেখানকার কোনো কোম্পানি বা ব্যক্তি যদি ভারতে বিনিয়োগ করতে চায় এবার থেকে সে কেবলমাত্র সরকারি রুট দিয়েই তা করতে পারবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই এইচডিএফসি ব্যাংকের ১.০১ শতাংশ শেয়ার পিপলস ব্যাংক অফ চায়নার কাছে বিক্রি করা হয়েছে। তারপর থেকেই মহামারীর সুযোগ দেশীয় কোম্পানিতে চিনের অন্যায্য হস্তক্ষেপ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। তারপরই এই সিদ্ধান্ত নিল ভারত সরকার।
কোনো বিদেশী সংস্থা কোনও ভারতীয় কোম্পানিতে ১০ শতাংশ বা তার বেশি শেয়ার কিনতে গেলে তবেই নতুন নিয়ম কার্যকরী হবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিরক্ষা, টেলিকম, ওষুধসহ ১৭টি ক্ষেত্রে যদি বিদেশি কোম্পানি বড় বিনিয়োগ করতে চায় তাহলে সরকারের অনুমতি লাগবে। পাঁচ হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগের প্রস্তাব এলে অর্থনীতি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বিশেষ কমিটি প্রস্তাব আগে খতিয়ে দেখবে।
এই সংক্রমণের সুযোগে চিনা সংস্থাগুলি যাতে দেশীয় সংস্থাকে অধিগ্রহণ করতে না পারে তাই এই সংশোধন। বিদেশী পুঁজিপতিদের হাত থেকে দেশীয় সংস্থাগুলিকে বাঁচাতে এই উদ্যোগ কেন্দ্রীয় সরকারের।