পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ১৫ জানুয়ারি: সকালের সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই একটি দিনই পৌষের নতুন চালের পায়েস ও খিচুড়ি সহযোগে চণ্ডী মায়ের পুজো ও সঙ্গে পৌষ পার্বণ মেলা আয়োজিত হল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির ওলদাতে। প্রায় ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পৌষ পার্বণ মেলা প্রতি বছরের মতো এবছরও আয়োজিত হয়। সকালের সূর্যোদয় থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত এই একটি দিনই এই মেলা বসে। একদিনের এই মেলায় ওলদা গ্রাম সহ কেশিয়াড়ির পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ ভিড় জমান। বিশেষ আকর্ষণ সারি সারি উনুনে একসঙ্গে একাধিক পিতলের হাঁড়িতে পৌষের নতুন চালের খিরের পায়েস ও খিচুড়ি ভোগ রান্না করে মাকে ভক্তি সহযোগে পুজো দেন ভক্তরা। সারা বছর শনি ও মঙ্গলবার এই পুজো হলেও, বিশেষত পৌষ মাসে নতুন চালের পায়েস এবং খিচুড়ি সহযোগে এই পূজার্চনা করা হয়। কয়েক হাজার ভক্তের ভিড় জমে এই স্থানে।

এলাকাবাসীদের দাবি, “এখানকার মা জাগ্রত।এছাড়াও এই চন্ডি মা ওলদা জায়গার নাম অনুসারে ওলদা চণ্ডী নামে পরিচিত।”

উল্লেখ্য ওলদা চণ্ডী বলতে এখানে একটি বট বৃক্ষের নিচে মাটিতে রয়েছে এক অষ্টধাতুর মূর্তি। তার ওপরে কয়েকটি পাথর। যার ওপরে সিঁদুর দিয়ে ফুল বেলপাতা সহযোগে ভক্তি যোগে পূজার্চনা করেন ভক্তরা। সঙ্গে মানত হিসাবে মাটির ঘোড়া ও হাতি দিয়ে পুজো দেন তারা।একদিনের এই পুজোতে প্রায় দুশো থেকে আড়াইশো হাঁড়ি পায়েস ও খিচুড়ি তৈরি হয়।কখনো বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা আরও বেড়ে যায় বলে জানালেন পূজারী দুর্গাপদ মিশ্র। সবমিলিয়ে পৌষের নতুন চালের পায়েস ও খিচুড়ি সহযোগে ওলদা চন্ডী মায়ের পুজোর সঙ্গে পৌষ পার্বণ মেলাও এক অনন্য মাত্রা জোগায় কেশিয়াড়ির এই ওলদা এলাকাতে।

