মোদীর উপস্থিতিতে লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচিতে ৩টি বিশ্ব রেকর্ডের সম্ভাবনা, তথ্য যাচাই করতে উপস্থিত থাকবে একাধিক সংস্থা

আমাদের ভারত, ১৫ ডিসেম্বর: আগামী ২৪ ডিসেম্বর কলকাতায় ব্রিগেড ময়দানের লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচির আয়োজকরা দাবি করছেন রাজ্যের জন্য এটা বড়দিন হয়ে উঠতে চলেছে। সংগঠনের সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ দাবি করেছেন, ওই দিন ব্রিগেডে যা হবে তা বিশ্বের কোথাও কখনো হয়নি। এত মানুষের সমাগমে একত্রে গীতা পাঠ, বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে গীতা পাঠের যে আয়োজন তা সফল করতে বিজেপি সহ সংঘ পরিবারের সব সংগঠনই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এর পেছনে অন্যতম রেকর্ড তৈরি হতে পারে জমায়েতের ক্ষেত্রেই।

লক্ষ মানুষকে ওইদিন ব্রিগেড ময়দানে নিয়ে আসার লক্ষ্য পূরণের সব রকম চেষ্টা চলছে। আয়োজকদের দাবি, ৪টি ক্ষেত্রে বিশ্বরেকর্ড তৈরি হতে পারে। প্রথমটি ১ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে গীতা পাঠ। এছাড়াও ঐদিন ব্রিগেডে সত্তর হাজার মহিলা একসঙ্গে শঙ্খ বাজাবেন। সেটিও বিশ্বে এর আগে হয়নি বলেই তাদের দাবি। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে সমবেত কন্ঠে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা গান গাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। দাবি করা হয়েছে ষাট হাজার জন একত্রে গাইবেন, “হে পার্থসারথি, বাজাও বাজাও পঞ্চ জন্য শঙ্খ” গানটি। এটিও বিশ্ব রেকর্ড তৈরি করতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে। এছাড়া একসঙ্গে প্রায় দেড় হাজার সাধুসন্ত ঐদিন ব্রিগেড ময়দানে শান্তিস্তোত্র পাঠ করবেন, এটিও বিশ্ব রেকর্ড হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে আয়োজক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বসন্ত সেঠিয়া বলেন, গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড সহ বেশ কয়েকটি সংস্থার কাছে আবেদন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কয়েকটি সংস্থার পক্ষে সম্মতিও এসেছে। তারা কলকাতায় প্রতিনিধি দল পাঠাবেন।

এই কর্মসূচিতে অনেকগুলি ক্ষেত্রেই বিশ্ব রেকর্ড তৈরি হতে পারে। আর সেগুলি যাচাই করতে আমেরিকা সহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিধিরা কলকাতায় আসবেন। তারা নিজেরা ব্রিগেডের কর্মসূচি পর্যবেক্ষণের পর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন। জানাগেছে, এই ধরনের রেকর্ড প্রমাণের আবেদন বেশ কয়েক মাস আগেই করা হয়েছে। বিভিন্ন ধাপে বিভিন্ন সংস্থা নানা তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে আবেদন করা হয়েছে। প্রতিটি সংস্থার প্রতিনিধিদের কলকাতায় আসা, থাকা, ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করছে আয়োজকরা।

প্রধানমন্ত্রী ছাড়া এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দ্বারকা মঠের বর্তমান শঙ্করাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী। তাদের উপস্থিতিতে গীতার প্রথম, দ্বিতীয়, দ্বাদশ, পঞ্চদশ, অষ্টাদশ অধ্যায়ের সমবেত পাঠ হবে ব্রিগেডে। তার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অনুশীলন চলছে। ব্রিগেডে প্রথম সারিতে বসবেন তারা, যারা অনুশীলনে অংশ নিচ্ছেন। পুরুষরা পরবেন সাদা ধুতি ও পাঞ্জাবি। সামনের সারিতে বসা মহিলারা পড়বেন লাল পাড় সাদা বা ঘিয়ে শাড়ি। আয়োজকদের দাবি, পরিকল্পনা শোনার পর মোদী ধুতি পাঞ্জাবি পরে আসার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *