Sukanta, BJP, চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট! বাইক র‍্যালি, সভা করে সুকান্ত চষে বেড়ালেন কল্যাণের এলাকা শ্রীরামপুর

আমাদের ভারত, ১৮ অক্টোবর: তৃণমূল সংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার আজ শ্রীরামপুরে পৌঁছে গেলেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় বাইক র‍্যালি সভা করে বিজেপির শক্তি প্রদর্শন করলেন সুকান্ত মজুমদার।

নিজের কনভয় ছেড়ে কল্যাণের এলাকায় ঢোকার সময় বুলেট বাইকে করে যান সুকান্ত। জানিয়ে দিয়েছিলেন গোটা এলাকা বাইক চালিয়ে ঘুরবেন তিনি। সুকান্ত মজুমদারের পেছনে দেখা যায় বিজেপি কর্মীদেরও সকলে বাইকে চেপে শ্রীরামপুরে র‍্যালি করতে। তারই মাঝে বাইক থামিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয় সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রে আগামী দিনে ভারতীয় জনতা পার্টির খাতা খুলবে এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে মানুষ রিজেক্ট করবে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত মানুষ ভারতীয় রাজনীতিতে মানানসই নয়।

সরাসরি কল্যাণকে বার্তা দিয়ে সুকান্ত বলেন, আপনি আমায় তুই তোকারি করতেই পারেন, কিন্তু আমি আপনাকে দাদা বলেই ডাকব, কারণ নরেন্দ্র মোদী আমাদের সেই শিক্ষাই দিয়েছেন। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আপনাদের হারানোর ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি। তিনি আরো বলেন, তৈরি থাকুন। ঝান্ডা আর ডান্ডার বারি তৃণমূলকে দেখাবো। ভেবেছিলাম কল্যাণ দা আজ বন্ধুক, কামান নিয়ে হয়তো দাঁড়িয়ে থাকবেন। কল্যাণ দা কল্যাণ দা বলে চিৎকারও করলাম, কিন্তু আপনাকে পেলাম না কোথাও। চু কিত কিত শুরুই করতে পারলেন না তার আগেই ফুস হয়ে গেলেন।

একই সঙ্গে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দম্ভ চূর্ণ করে যারা যেখানে উপস্থিত হয়েছেন তাদের কুর্নিশ। একটাই বার্তা আজ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ছুঁচোদের ভয় পাবেন না। এদের মাড়িয়ে যেতে হয়। এরপর কটাক্ষ করে একটা কবিতা আওড়াতে দেখা যায় বিজেপি নেতাকে, তিনি বলেন, “কল্যাণ কল্যাণ ডাক পারি, কল্যাণ গেল কার বাড়ি? আয় কল্যাণ দেখে যা বিজেপির ক্ষমতা। কুকুর মুগুরের ভক্ত।”

প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন এস আই আর নিয়ে কোনো গন্ডগোল হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাস্তায় নামবে, গুলি চলবে। এরই পাল্টা তাকে আক্রমণ শানিয়ে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, একটা ভোটারকে বাদ দিয়ে দেখুক না নির্বাচন কমিশন, স্তব্ধ করে দেব। ওই যে ছোঁড়াটা যে মন্ত্রী হয়েছে, দেখ না সিআইএসএফ যে গুলি চালাবে ওই গুলি তোর মুখে লেগে যাবে। ওর মস্তানি বের করে দেব। বালুরঘাটে সেবার দশ হাজার ভোটে জিতেছে। এবার দেখছি আমরা। বাংলার মানুষকে চিনিস না। উত্তর প্রদেশ দেখাস। দু’চারটে সুকান্ত হাওয়ায় উড়ে যাবে। মাঠ জীবনে দেখেছে এরা। অফিসে বসে প্রেসের কাছে বক্তৃতা দিয়েছে। আয় না আমাদের কাছে বক্তৃতা দিতে, আয়। তুই শ্রীরামপুরে আয়, তারপর তুই ঘরে ফিরে যাস কিভাবে দেখব।” সেই চ্যালেঞ্জ অ্যাকসেপ্ট করেই আজ শ্রীরামপুরে পৌঁছে যান সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *