সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ৩০ জুলাই: বাঁকুড়া জেলাজুড়ে গাড়িতে ওভারলোড করে বালি পাচারের রমরমা, ওভারলোডিং বালির গাড়ি চলাচলে বিরক্ত জেলাবাসী, ওভারলোডিং বালির গাড়ি চলাচলে গ্রামীণ রাস্তা দ্রুত বেহাল হয়ে পড়ছে, বালির গাড়ির চাপা পড়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা, ঘটছে মৃত্যু, কিন্তু প্রশাসন নিরব দর্শক। এরকম একগুচ্ছ অভিযোগ জেলার মানুষের বহুদিনের।
বীরভূমের প্রসাশনিক সভাতে সর্বত্র ওভারলোডিং গাড়ি চলাচলে রাস্তার দশা বেহাল হচ্ছে, তা বন্ধ করার নির্দেশ দেন। তারপরই গতকাল ওভারলোড করে বালি পাচারের রমরমা ব্যবসার রাশ টানতে অভিযানে নামেন খোদ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি অনুসূয়া রায়।
এদিন তিনি বাঁকুড়া জেলার জয়পুর ব্লকের রাউৎখন্ড পঞ্চায়েতের কুম্ভস্থল থেকে হেতিয়া রাস্তায় কুন্দপুষ্করিনী এলাকায় অভিযান চালান। জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে তিনি পৌঁছান ঘটনাস্থলে। সেখানে ডেকে নেন স্থানীয় থানার ওসি এবং বিএলএলআরও’কে। কুন্দপুষ্করিনী এলাকায় সারি সারি ওভারলোড বালির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার ছবি তার নজরে আসে। বালি মাফিয়াদের সাথে প্রশাসনের কিছু কর্মীর যোগসাজশ রয়েছে এই অভিযোগ নিয়ে জেলাজুড়ে উঠেছে তীব্র বিতর্ক।
সভাধিপতি বলেন, সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরভূমের প্রশাসনিক সভা থেকে কড়া বার্তা দিয়েছেন গ্রামীণ রাস্তায় ওভারলোড গাড়ির চলাচল বন্ধ করতে। তার পরেও চলছে এই ধরনের ওভারলোড বালি পরিবহণ? এটা চলতে দেওয়া যায় না। সভাধিপতির অভিযোগ, বালির স্টক থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে বালির গাড়ি ওজন হয়। এই ৩ কিলোমিটার রাস্তা ওভারলোড গাড়ি যাতায়াতের ফলে রাস্তার অবস্থা বেহাল হচ্ছে। এমনকি ওজন মেশিনের জায়গাতেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। অতিরিক্ত বালি খালি করে বিনা চালানে বিক্রিরও অভিযোগ উঠে আসছে। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও এনিয়ে সরব। তাদের অভিযোগ, এতে রাস্তা দ্রুত খারাপ হচ্ছে। সাইকেলেও চলাচল করা যায় না। স্কুল চলাকালীন সময়ে এই বিশাল আকৃতির বালির গাড়ির যাতায়াতে ছাত্রছাত্রীদের রাস্তা পার হতে সমস্যা হয়। কাদা ও গর্তে ভর্তি রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য এই ওভারলোড গাড়িকেই দায়ী করছেন তারা।
স্থানীয় বিএলএলআরও বিষয়টি স্থানীয় পঞ্চায়েতের বলে দায়িত্ব এড়িয়ে গেছে।
অন্যদিকে, বিজেপি নেতাদের কটাক্ষ, সভাধিপতি অনুসূয়া রায় এই ব্যবসা থেকে আর্থিক ভাগ পাচ্ছেন না বলেই হয়তো এবার অভিযানে নেমেছেন।