আমাদের ভারত, ১৪ সেপ্টেম্বর: ভারতীয়দের তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে চিন। এই আশঙ্কা থেকেই পর পর চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু লাদাখ সংঘাতে সেই আশঙ্কা আরও তীব্র হয়েছে। নজরের আড়ালে ভারতের সঙ্গে ডেটা যুদ্ধ শুরু করেছে চিন। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ভারতের ১০ হাজার প্রভাবশালী ব্যক্তির ওপর নিরন্তর নজরদারি চালাচ্ছে চিনা গোয়েন্দারা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে চিনে সেনঝেন তথ্যপ্রযুক্তি কোম্পানি ঝেনহুয়া ডাটা ইনফরমেশন টেকনোলজি কোম্পানি লিমিটেড এই কাজ করছে। চিনা সরকার ও চিনা কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে এই কোম্পানির সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে। এরা একটি গ্লোবাল ডাটাবেস তৈরি করছে। যেখানে ভারতের ১০ জন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাষ্ট্রপতি, প্রধান বিচারপতি, সোনিয়া গান্ধী,রাহুল গান্ধী, প্রিয়াংকা গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,নবীন পট্টনায়ক, উদ্ধব ঠাকরে, শিবরাজ সিং চৌহান, রাজনাথ সিং, রবিশঙ্কর প্রসাদ, নির্মালা সিতারামন, স্মৃতি ইরানি, বিপিন রাওয়াত, প্রায় ১৫ জন প্রাক্তন প সেনাপ্রধান, নৌ সেনাপ্রধান, বায়ুসেনা প্রধানের উপর চলেছে নজরদারি। এছাড়াও দেশের একাধিক শিল্পপতি, সাংবাদিক, বিজ্ঞানী, খেলোয়াড় সহ একাধিক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের উপরেও চলছে চিনা নজরদারি।
ঝেনহুয়া স্বীকার করে তারা চিনা সরকার ও চিনা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে কাজ করে। ফলে গত কয়েক মাস ধরে এই কোম্পানির ডাটা বিশ্লেষণ করে এমন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ওই সংবাদমাধ্যম। শুধু ভারত নয়, চিনা কোম্পানির নজরে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, ইউরোপের বহু দেশ।
এই তথ্য ভারতের সংবাদমাধ্যমটি ছাড়াও লন্ডনের দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ, অস্ট্রেলিয়ার ফাইনান্সিয়াল রিভিউ, ইতালির এল ফোগিলোর হাতে এসেছে।
জানা গেছে ঝেনহুয়া ২০১৮ সাললে কোম্পানি হিসেবে নথিভুক্ত হয়। সারা দেশে তাদের কুড়িটি শাখা রয়েছে। কোম্পানির ক্লায়েন্টদের মধ্যে রয়েছে চিনা সরকার, চিনের সেনা।
দুনিয়াজুড়ে হাজার হাজার মানুষের উপর নজরদারি করা হচ্ছে অভিযোগ নিয়ে এই কোম্পানিটির মুখোমুখি হয়েছিলেন এক সাংবাদিক। তার প্রশ্নের তালিকায় ছিল ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির প্রশ্নমালাও। কিন্তু কোম্পানির কর্মী জানিয়ে দিয়েছে এসব প্রশ্নের উত্তর প্রকাশ করা যাবে না। কারণ এটি তাদের ব্যবসার সাথে জড়িত। তবে এবিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমটির একটি প্রশ্নের উত্তরে দিল্লিতে চিনা দূতাবাস থেকে বলা হয় চিনা সরকার কোন কোম্পানিকে এই ধরনের তথ্য সরবরাহ করতে বলতে পারে না বা বলবেও না।