চিন্ময় ভট্টাচার্য, আমাদের ভারত, ১৫ এপ্রিল: যত শীঘ্র সম্ভব, এই রাজ্যে সব জুটমিলে উৎপাদন শুরু করতে নির্দেশ দিয়ে নবান্নে চিঠি পাঠাল বস্ত্র মন্ত্রক। রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীবা সিনহাকে লেখা সেই চিঠিতে বুধবার কেন্দ্রীয় বস্ত্রসচিব রবি কাপুর জানিয়েছেন, এখন রবি ফসলের মরশুম। শস্য রাখার ব্যাগগুলো জুটমিলে তৈরি হয়। অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত জুটমিলে কাজ শুরু করতে বলুন। না-হলে ফসল তুলে রাখা যাচ্ছে না। আর, সেটা যদি না-যায়, তবে দেশজুড়ে অনাহার দেখা দেবে।
এর আগে ৫ এপ্রিল এবং ১৩ এপ্রিল নবান্নে মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রসচিব রবি কাপুর। সেই চিঠিতে তিনি রাজ্যের ১৮টি জুটমিলে অবিলম্বে ব্যাগ উৎপাদন শুরুর নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের ভিত্তিতে বজবজ মিল, সেলিডোনিয়ান জুটমিল, চেভিয়ট জুটমিল, বিড়লা জুটমিল, গ্যাঞ্জেস ম্যানুফ্যাকচারিং জুটমিল, উমা স্পিনার জুটমিল, শক্তিগড় টেক্সটাইলস জুটমিল, হুকুমচাঁদ জুটমিল, কামাক্ষী জুটমিল, এইচএসবি অ্যাগ্রো জুটমিল, বালি জুটমিল, অম্বিকা জুটমিল, শ্রীহনুমান জুটমিল, বিজয়শ্রী জুটমিল, হুগলি জুটমিল, জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, গয়াল ইন্ডাস্ট্রিজ জুটমিল, মা অন্নপূর্ণা জুটমিলে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে সেই সব জুটমিলে কাজ চলছে। কিন্তু, তাতে যেটুকু ব্যাগ উৎপাদন হচ্ছে, তা দিয়ে যথেষ্ট শস্য মজুত করা অসম্ভব। সেকথা মাথায় রেখেই, রাজ্যের সমস্ত জুটমিল অবিলম্বে চাল করার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বস্ত্রসচিব। চিঠিতে সেকথারও উল্লেখ রয়েছে।
কেন্দ্রের তরফে এই নতুন চিঠি পাঠানোর আগে বুধবারই অবিলম্বে রাজ্যের সমস্ত জুটমিল খোলার দাবি জানান ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ তথা ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের অন্যতম শীর্ষনেতা অর্জুন সিং। তিনি নিজের সোশ্যাল সাইটে পরিষ্কার জানিয়ে দেন, বাকি জুটমিলগুলোও অবিলম্বে খোলা না-হলে জুটশ্রমিকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দেবে। আর এতেই বিভিন্ন মহলের প্রশ্ন, মাত্র একদিনের মধ্যে ১৮টির বদলে রাজ্যের সব জুটমিল খোলার প্রয়োজনীয়তা বস্ত্র মন্ত্রক বুঝে ফেলল কী করে? তাহলে, অর্জুন সিংয়ের হুঁশিয়ারিতেই কি রাজ্যের সব জুটমিলের তালা লকডাউন ভেঙে খুলতে চলেছে? এই প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই।