Kisan Festival, Kolkata, কলকাতায় কেন্দ্রীয় সংস্থার যৌথভাবে ‘পিএম-কিষাণ উৎসব দিবস’ পালন

আমাদের ভারত, ২ আগস্ট: ‘পিএম-কিষাণ উৎসব দিবস’ উপলক্ষে শনিবার আইসিএআর
সিআইএফআরআই (Central Inland Fisheries Research Institute) ও আইসিএআর-সিআইএফই (Central Institute of Fisheries Education) যৌথভাবে কলকাতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসংযোগমূলক অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

ভারত সরকারের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরো জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (মৎস্য, দুগ্ধ ও পশুপালন এবং পঞ্চায়েত রাজ) রাজীব রঞ্জন সিংহ। তিনি দেশজুড়ে কৃষক ও মৎস্যচাষিদের কল্যাণ এবং আর্থিক ক্ষমতায়নের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে আগত ৮১ জন মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষি, ICAR-CIFRI, ব্যারাকপুর এবং ICAR-CIFE, কলকাতা কেন্দ্রের বিজ্ঞানী ও কারিগরি কর্মীদের সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এদিন তাঁরা প্রত্যেকে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পের কিস্তির টাকা পান।

সারা দেশের ২ কোটিরও বেশি কৃষক ICAR প্রতিষ্ঠান, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (KVKs), বিশ্ববিদ্যালয়, পিএম কিষাণ সমৃদ্ধি কেন্দ্র এবং প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতি-র দ্বারা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন।

এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ICAR-CIFE কলকাতা কেন্দ্রে চারাগাছে জলসিঞ্চনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন। তিনি মৎস্যজীবী ও মৎস্যচাষীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশ নেন এবং জীবিকা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে মৎস্যশিল্পের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

এরপর সকাল ১১টায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের কৃষক সমাজের উদ্দেশে ভাষণ দেন। তিনি গ্রামীণ জীবিকার উন্নয়ন, কৃষি আয়ের বৃদ্ধি, কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তার সুযোগ প্রদানের লক্ষ্যে সরকারের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী PM-KISAN প্রকল্পের ২০তম কিস্তি প্রদান করেন, যার মোট পরিমাণ ছিল ২০,৫০০ কোটি টাকা, যা ৯.৭ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের ৪৪,৭৮,৫২৬ জন কৃষক এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন।

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বিভিন্ন রাজ্যের কৃষকদের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতায় আসেন। তিনি কৃষকদের সুস্থায়ী ও সমন্বিত কৃষি অনুশীলন গ্রহণের পাশাপাশি, কিসান ক্রেডিট কার্ড (KCC), PMMSY এবং PM-KISAN প্রকল্পের সুবিধাগুলি গ্রহণের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে করেন ICAR-CIFRI, ব্যারাকপুর কেন্দ্রের নির্দেশক ড. বি. কে. দাস এবং ICAR-CIFE, কলকাতা কেন্দ্রর প্রধান ড. টি. কে. ঘোষাল। তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞানী ও কারিগরি কর্মীদের একটি দল।

ড: দাস গবেষণা, সম্প্রসারণ ও সরকারি সহায়তার মধ্যে সমন্বয় সাধনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি অভ্যন্তরীণ মৎস্যশিল্পের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।
কলকাতায় অনুষ্ঠিত PM-KISAN-এর এই অনুষ্ঠান ভারত সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস’-এর বাস্তব প্রতিফলন, যা সুস্থায়ী, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং সুস্থায়ী কৃষি ও মৎস্যশিল্পের বিকাশে সহায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *