রাজেন রায়, কলকাতা, ২ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্র নিজেই দেশের সংবিধান মানছে না। একদিকে যেখানে লকডাউন করা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ শানাচ্ছে, সেখানে করোনার অজুহাতে রাজ্যে বিপুল পরিমাণ টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। ফলে করোনা সামলাতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে এমন কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, জিএসটি কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয়েরই জিএসটি বাবদ টাকা প্রাপ্য থাকে। কিন্তু করোনা আবহে রাজ্যের প্রাপ্য বহুদিন ধরেই পায়নি রাজ্য। প্রায় ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকা রাজ্য এই খাতে কেন্দ্র থেকে পায়। কিন্তু কেন্দ্র বলছে, এখন টাকা মেটানো সম্ভব নয়, বরং রাজ্য ঋণ নিয়ে নিক। কেন্দ্রের এই আচরণ সঠিক নয় এবং এর ফলে কেন্দ্র-রাজ্যের সুসম্পর্কের ব্যাঘাত ঘটবে বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর।
এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কিছুদিন আগে চিঠিতেও মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেছিলেন, “আমি মনে করিয়ে দিতে চাই ২০১৩ সালে আপনি যখন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন জিএসটি কার্যকর করার ব্যপারে বাধা দিয়েছিলেন। তখন স্বর্গীয় অরুণ জেটলি এই নীতির বিরোধিতা করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন যে, এই নীতি লাগু হলে রাজ্যগুলো তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারকে বিশ্বাস করি না। আজও একই কারণে জিএসটি বাবদ রাজ্যের ক্ষতিপূরণ না মেলায় আমাদের কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের ওপর বিশ্বাস হারাচ্ছে।”

