Census, Two phases, দুই দফায় হবে জনগণনা, থাকছে নতুন ৬টি প্রশ্ন

আমাদের ভারত, ১৭ জুন: পূর্ব ঘোষণা অনুসারে সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে গেজেট নোটিফিকেশন তথা বিজ্ঞপ্তি জারি করে জনগণনা শুরুর দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, দুটি ধাপে জনগণনা করা হবে। এবারে জনগণনাতে বেশ কিছু নতুন প্রশ্ন করা হবে বলে জানা গেছে। এরফলে জনগণনা দীর্ঘায়িত হবে এবং খরচও বাড়বে।

১ অক্টোবর ২০২৬ থেকে প্রথম ধাপের জনগণনা শুরু হবে। এর মধ্যে চারটি পার্বত্য রাজ্য হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ রয়েছে। দ্বিতীয় ধাপ ১ মার্চ ২০২৭ থেকে শুরু হবে। এই ধাপে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও জনগণনা শুরু হবে। ২০২৮ সালের মাঝামাঝি জনগণনা তথ্য সামনে আসতে পারে বলে অনুমান। জনগণনায় খরচ হবে প্রায় তেরো হাজার কোটি টাকা। সরকারি সূত্র উদ্ধৃত করে একটি রিপোর্টে একথা জানানো হয়েছে।

এবারে জনগণনাতে যে নতুন ছয়টি প্রশ্ন করা হবে তার মধ্যে রয়েছে, বাড়িতে কি ইন্টারনেট সংযোগ আছে? একটি বাড়িতে কটি মোবাইল রয়েছে?এগুলির মালিক কে? বাড়িতে পানীয় জলের উৎস কি? রান্নার জন্য বাড়িতে গ্যাস সংযোগ আছে কি? যদি থাকে তাহলে সেটা কোন ধরনের? একটি বাড়িতে কোন ধরনের যানবাহন রয়েছে? এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হতে পারে। এছাড়াও প্রশ্ন করা হতে পারে বাড়িতে কোন ধরনের শস্য ব্যবহার করা হয়?

গত মাসে জনগণনার সঙ্গে জাত গণনা করার কথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। প্রশ্নোত্তরের ভিত্তিতে জাত এবং জনগোষ্ঠী সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবারে জনগণনা পর্বে সংগ্রহ করা হবে বলে জানাগেছে। তিনটি বিষয়ের উপর জনগণনা হবে। এক বাড়িতে ব্যক্তি সংখ্যা ও তাদের আবাস সংখ্যাও। আবাসিক কতজন বসবাস করেন সেটা অর্থাৎ জনসংখ্যার পাশাপাশি কটি বাড়ি রয়েছে তাও গণনার আওতায় আনা হবে।

বিরোধী দল নেতা রাহুল গান্ধী জাতিগত জনগণনার দাবিতে অনেকদিন আগে থেকেই সরব হয়েছেন। বাকি বিরোধী দলগুলোর তরফেও একই দাবি করা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার সূত্রে খবর, জাতিগত জনগণনা অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ফলে এবারে জনগণনা বেশ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে, কারণ আগের চেয়ে অনেক বেশি প্রশ্ন সংখ্যা যোগ করা হচ্ছে সমীক্ষায়। যার ফলে খরচ বাড়বে। দেশের শেষ জনগণনা হয়েছিল ২০১১ সালে। এটি প্রতি ১০ বছর অন্তর করা হয়। সে অনুযায়ী পরবর্তী আদমশুমারি ২০২১ সালে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ২০১৯ মহামারীর কারণে তা স্থগিত করা হয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *