আমাদের ভারত, ১১ নভেম্বর:ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডার সংস্থা ও নিউজ পোর্টালকে নিয়ন্ত্রণ করতে এবার নতুন আইন আনল কেন্দ্র সরকার। এবার থেকে এই দুটি ক্ষেত্রেই কেন্দ্রীয় তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রীর অধীনে থাকবে। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন।
আমাদের দেশে প্রিন্ট মিডিয়ার উপর নজর রাখে প্রেস কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। নিউজ চ্যানেল গুলি রয়েছে নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে। এডভার্টাইজিং স্ট্যান্ডার্ড কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া বিভিন্ন চ্যানেলের বিজ্ঞাপনের উপর নজর রাখে। সিনেমা তথা ফিল্মের ওপর নিয়ন্ত্রণ করে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেশন।
ডিজিটাল কনটেন্ট প্রোভাইডারদের কোন স্ব-শাসিত সংস্থার অধীনে আনার জন্য দেশের শীর্ষ আদালতে আবেদন জমা পড়ে। গত মাসে সুপ্রিমকোর্ট এই আবেদনের ওপর কেন্দ্র সরকার তির মতামত জানাতে বলে। শীর্ষ আদালত থেকে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং ব্রডকাস্টিং এন্ড ইন্টারনেট এন্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশনকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল।
সুপ্রিমকোর্টে জমা পরা পিটিশনে বলা হয়েছিল বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ফিল্ম মেকার, ও আর্টিস্টদের বিরাট সুবিধা করে দিয়েছে। তাদের সেন্সর বোর্ড নিয়ে ভাবতে হচ্ছে না।
আবার অন্য একটি মামলায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী সুপ্রিমকোর্টে বলেছিল ডিজিটাল মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। মিডিয়ার ঘৃণ্য প্রচারের বিরুদ্ধে সরকার গাইডলাইন আনতে চায়। তার আগে শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে নজর রাখার জন্য একটি কমিটি গঠন করতে পারে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর গতবছর বলেন, তিনি এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না যাতে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা খর্ব হয়। তবে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মত ডিজিটাল মাধ্যমেও সরকারি বিধি নিষেধ থাকা প্রয়োজন।
একুশ শতকের গোড়া থেকেই ভারতের ডিজিটাল মিডিয়ার পথ চলা শুরু করে। অনলাইন ও ডিজিটাল পাবলিশিং এর জন্য নানা সংস্থা তৈরি হয়। প্রথমে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও পত্রিকার ডিজিটাল সংস্করণ প্রকাশিত হতে থাকে। কিন্তু এখন ভারতে এমন সংস্থা অনেকই আছে যারা শুধুমাত্র ডিজিটাল মাধ্যমেই সংবাদ অন্যান্য কনটেন্ট সরবরাহ করছে। অন্যান্য মাধ্যমের তুলনায় ভারতের ডিজিটাল মিডিয়ার বয়স নেহাত কম। সবচেয়ে বেশি পুরনো প্রিন্ট মিডিয়া।