সাঁওতালি মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর ১৩৫ তম জন্মদিন পালন

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম: সাঁওতালি মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর ১৩৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হল ঝাড়গ্রাম শহরের রবীন্দ্র পার্কে রবিবার সকালে। সাধু রামচাঁদ মুর্মুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদানের মাধ্যমে জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। ইন্ডিজেনাস পিপিলস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির উদ্যোগে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত খেরওয়াল সরেন তথা কালিপদ সরেন। এছাড়াও ছিলেন, ইন্ডিজেনাস পিলিপস ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক উপেন্দ্রনাথ সরেন। ছিলেন পদ্মশ্রী খেরওয়াল সরেন তথা কালীপদ সরেন, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার প্রাপ্ত নিরঞ্জন হাঁসদা, গুরুপদ মুর্মু, অতুল হাঁসদা, রবীন্দ্রনাথ সরেন, পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ ও শিক্ষা পরিষদের সদস্য, প্রবীর মুর্মু, সাধারণ সম্পাদক ভাতক জাকাত মাঝি মাড়য়া জুয়ান খাঁওতা।

বাংলার ১৩০৪ সালের ১৬ই বৈশাখ ঝাড়গ্রাম জেলার অন্তর্গত বিনপুর ২ নম্বর ব্লকের শিলদা এলাকার কামারবাঁধি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাঁওতালি সমাজের মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মু। সাঁওতালি সমাজের উন্নয়নের কথা ভেবে তিনি একাধিক গান, সাহিত্য, কবিতা রচনা করেছেন। ছোট থেকেই এই মহাকবি মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত ভীমপুরে মিশনারি সাঁওতাল ছেলেমেয়েদের শিক্ষার উদ্যোগে আবাসিক স্কুলও স্থাপন করেছিলেন তিনি। সাঁওতালি সমাজকে জাগ্রত করার জন্য “দেবন সিঙ্গুর আদিবাসী বীর” নামের গান রচয়িতা করেছিলেন যা বাংলা, বিহার, ঝাড়খন্ড, অসম, ওড়িশা সহ সমস্ত আদিবাসী সমাজের মানুষজনের মুখে এখনো শোনা যায়।

সাধু রামচাঁদ মুর্মুর লেখা সাহিত্যের মধ্যে রয়েছে, “সারি ধরম পেলেন পুঁথি,” “অল দহ অনড়হেঁ,” “লিটো গোড়েৎ,” “সংসার ফেঁদ,” “ঈশরড়” সহ একাধিক সাহিত্য ও কাব্যগ্রন্থ। এদিন পদ্মশ্রী খেরওয়াল সরেন তথা কালিপদ সরেন বলেন, “আজ সাঁওতালি মহাকবি সাধু রামচাঁদ মুর্মুর ১৩৫ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হলো। তিনি সাঁওতালি সমাজকে জাগ্রত করার জন্য সাহিত্যের ও গানের মাধ্যমে সমাজকে উন্নতির পথে তরান্নিত করেছেন। নেশা মুক্ত ও উন্নত সমাজ গড়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *