স্নেহাশিস মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ৩ ডিসেম্বর:
২৫ তম আন্তর্জাতিক ও ১৮ তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদযাপনে নদীয়া শান্তিপুর গোবিন্দপুর অঞ্চলে ৩৭ জন বিশেষভাবে সক্ষমরা ব্রতী হলেন অন্যের প্রাণ বাঁচাতে। জেলায় গত বছরই প্রথম ৪২ জন রক্তদানে উৎসাহিত হলেও মাত্র ১৭ জনের রক্ত নিতে সমর্থ হয় ব্লাড ব্যাঙ্ক। তাই সংখ্যা বাড়াতে এবছর তারা মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিল ৭২ জন। যার মধ্যে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত, সীমা কুন্ডু এ বছরই উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে। জীবনে এই প্রথম সে রক্ত দিল। নারায়ণ সরকার এবং ফর্সাদ শেখ ষাটোর্ধ্ব এই দুই প্রবীণ, হুইল চেয়ারে চলাফেরা করলেও দান করলেন রক্ত। ১০০ % সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন পরিমল দাস, অখিল শর্মা এবং মনোজ দেবনাথ মূক এবং বধির হওয়া সত্ত্বেও আজকের মহৎ কাজে সামিল। এরকমই ৩৭ জন রক্ত দিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন প্রতিবন্ধী দিবসে।
শান্তিপুরের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে, উপস্থিত ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, বাবলা অঞ্চলের প্রধান উপপ্রধান সহ সমস্ত সদস্যগণ। প্রশাসনিক দিক থেকেও বিডিও ও হাসপাতাল সুপার প্রত্যেকেই তাদের এই মহৎ উদ্দেশ্যকে সাধুবাদ জানাতে ছুটে এসেছিলেন অল্প সময়ের জন্য।
এত আনন্দের মাঝেও, নীরবতা পালন, মৌন মিছিল, ধিক্কার, প্রতিবাদ জানান ডাক্তারদিদি প্রিয়াঙ্কার জন্য। তাদের (মূক ও বধির )হাতের প্ল্যাকার্ডে উঠে এসেছে কথা বলতে পারা নির্ভায়া, প্রিয়াঙ্কা দিদির এই অবস্থা হলে, আমরা কতটুকু নিরাপদ?
তাদের (সেরিব্রাল পালসি)হাতের প্ল্যাকার্ডে অপ্রিয় সত্য “আমাদের অনেকেই, রেল স্টেশন ফুটপাতে ধর্ষিতা হন প্রতিরাতে!
“শত শত ধর্ষিতার শাস্তি মাত্র একটি ফাঁসি ২০০৪ সালে।
দৃষ্টিহীনদের হাতের প্ল্যাকার্ডে লেখা, দেখতে না পাওয়ার সুযোগে, হিংস্র কিছু চোখের রোষানলে, আমরাও পড়ি, বাড়ি ফেরার পথে।অস্থি সংক্রান্ত সমস্যায় চলতে না পারা মহিলাদের প্রশ্ন, শারীরিক সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রায়শই ধর্ষিতা হচ্ছে আমাদের দিদি বোনেরা, আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?