সুশ ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ৫ ফেব্রুয়ারি: কয়েক মাস ধরেই দুষ্কৃতী ও অনুপ্রবেশকারীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে বাগদার সীমান্ত এলাকায়। সোনাপাচার, গরুপাচার সহ অনুপ্রবেশকারীদের আনাগোনা লেগেই আছে সীমান্তে। তাই আগেভাগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং অপরাধমূলক কাজকর্ম রুখতে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হচ্ছে চারটি বাজার সহ গ্রামে। একই সঙ্গে বাগদা এলাকায় যানজট মোকাবিলারও অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ধরা হচ্ছে ওই নজর-ক্যামেরাকে।
রাজ্য পুলিশের উদ্যোগে সোমবার সকালেই এই কাজ সম্পন্ন হলো। উপস্থিত ছিলেন পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা। উত্তর ২৪ পরগণার বাগদা থানা এলাকার অধিকাংশটাই বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া। আর সেই কারণে সীমান্ত অঞ্চলের নানা দুষ্কর্ম এখানে লেগেই থাকে। যার কারণে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক সবসময় কাজ করে। ফলে সর্বক্ষণ তটস্ত থাকতে হয় প্রশাসনকে। এই সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচলান নিত্যদিনের সমস্যা। এক্ষেত্রে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার উঠেছে প্রশ্ন। তাই এব্যাপারে তৎপরতা শুরু করল পুলিশ প্রশাসন। এবার বাগদার গুরুত্বপূর্ণ সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বসানো হলো সিসিটিভি ক্যামেরা। সোমবার সকালে বাগদা পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বানেশ্বরপুর বাজারে সিসিটিভি বাসানোর কাজ শুরু হয়। এই বানেশ্বরপুর দিয়েই সীমান্তে চোরাচালানের অভিযোগ উঠেছে বহু বার।

তাই এবার অনুপ্রবেশ এবং দুষ্কর্মমূলক কার্যকলাপ রুখতে ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাবে পুলিশ। এলাকায় চুরি ডাকাতি সহ একাধিক আসামাজিক কাজের উপর নজর রাখতে সুবিধা হবে পুলিশের। এদিন সকালে ক্যামেরা লাগানোর সময় বানেশ্বরপুর বাজারে হাজির ছিলেন বাগদার এসডিপিও শান্তনু ঝাঁ এবং বাগদা থানার পুলিশ আধিকারিক গণেশ বাইন। বাজার সংলগ্ন প্রতিটি রাস্তার মোড়ে সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়৷
বাগদার এসডিপিও শান্তনু ঝাঁ এদিন বলেন, সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার সহ একাধিক দুষ্কর্মমূলক কার্যকলাপ রুখতে সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। আপাতত ৫টি বাজারকে চিহ্নিত করা হয়েছে। আষাঢ়ু বাজার, আউলডাঙা বাজার, বৈকোলা বাজার, বানেশ্বরপুর বাজার এবং হেলেঞ্চা বাজারে এই সিসি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর ফলে এলাকায় অসামাজিক কাজ কমবে বলে পুলিশের পাশাপাশি আশা করছেন ব্যবসায়ীরাও।

