“দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতাদের দুয়ারে সিবিআই চলে আসবে এবার,” পুরুলিয়ায় হুঁশিয়ারি সুকান্তর

সাথী দাস, পুরুলিয়া, ২০ ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েত ভোটই শুধু নয়, লোকসভা নির্বাচনেও দল বদলুদের ক্ষেত্রে দলের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ পুরুলিয়ায় দলীয় একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি পরিষ্কার বলেন, বিজেপির ঝান্ডা ধরে এপারে এলেও বাঁচবে না, ইডি সিবিআই আছে।

খানিকটা ছন্দের সুরে তিনি বলেন, “যদি কর চুরি, যত বড় হও দিদির ভাই, ধরবে তোমায় সিবিআই।” সেই রেশ ধরেই তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আর কোনো পচা আম আমরা নেবো না। তৃণমূলের একটা সংসদ বিধায়কও সম্পত্তির হিসেব দিতে পারবেন না। এই সময় চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্টকে দিয়ে সম্পত্তির হিসেব ঠিক করে নিন। দরজায় সিবিআই, দুয়ারে সিবিআই চলে আসবে এবার। তখন বিজেপির পতাকা ধরলেও বাঁচা যাবে না। আমরা কথা দিচ্ছি দুর্নীতিগ্রস্তদের জেলে পাঠাবোই।”

এদিন বক্তব্যে আগাগোড়া তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এদিন পুলিশকে একহাত নেন তিনি। তাঁদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করলে পুলিশ পুলিশের মত কাজ করলে সম্মান পাবেন। আর যদি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করতে আসেন তাহলে মাথার টুপিতে অশোক স্তম্ভটা খুলে রেখে হাওয়াই চটি লাগিয়ে আসবেন। আমরা হাওয়াই চটির কিভাবে ব্যবস্থা করতে হয় জানি। কিন্তু নিরপেক্ষ থাকুন আমাদের থেকে সম্মান পাবেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পুরুলিয়া জেলা পরিষদ ভারতীয় জনতা পার্টি দখল করবে। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে আমি আসবো একসাথে পাত পেড়ে খিচুড়ি খাবো।”

পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিজেপির সভা মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস যোজনায় দুর্নীতি সহ একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে রবিবার পুরুলিয়া জেলার চার জায়গা থেকে নীতি যাত্রা মিছিল শুরু করে বিজেপি। বলরামপুর, ঝালদা, রঘুনাথপুর এবং হুড়া থেকে শুরু হওয়া এই ‘নীতি যাত্রা’ কর্মসূচি আজ শেষ হয় পুরুলিয়া শহরের ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। সেখানে একটি পথসভা অনুষ্ঠিত হয় বিজেপির। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙ্গা, জেলার ৬ বিধায়ক ও অন্যান্য নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। ছিলেন রাজ্য নেতা বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *