সিবিআই সেটিং তত্ত্ব দিলীপদার ব্যক্তিগত মত, দলের এতে সায় নেই, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সুকান্ত মজুমদার

আমাদের ভারত, ২২ আগস্ট:
সিবিআই–এর ভূমিকা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দিলীপ ঘোষ দাবি করেছেন, রাজ্যের শাসক দলের সঙ্গে সিবিআইয়ের সেটিং আছে। একই সঙ্গে তার আরও দাবি ইডি পোষ মানবে না। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির এই মন্তব্য ঘিরে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রশ্ন উঠেছে সিবিআই হোক বা ইডি দুটোই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, তার পরিচালনায় রাজ্যের কোনও ভূমিকাই নেই। তাহলে কেন্দ্রের ক্ষমতায় থাকা দলের একজন নেতা এহেন মন্তব্য কেন করলেন? কিন্তু এই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, দিলীপ ঘোষের বক্তব্য একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত। এতে দলের দায় নেই।

দিলীপ ঘোষের মন্তব্য নিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে প্রশ্ন করা হলে তার স্পষ্ট জবাব, “দিলীপদা কোথা থেকে এই কথা বললেন আমাদের জানা নেই। কেন্দ্রীয় এজেন্সি কিভাবে কাজ করে সেটা কোনও রাজনৈতিক নেতার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমার পক্ষেও জানা সম্ভব নয়। যদি কেউ মন্ত্রী হন তাহলে তাঁর পক্ষে তা জানা সম্ভব। আমাদের কাছে এই বিষয়ে কোনও ইনফরমেশন নেই। তবে তারা নিরপেক্ষ সংস্থা। নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। সেই মতো কাজও করছে। তবে দুটো কেন্দ্রীয় এজেন্সি সিবিআই এবং ইডি কিভাবে কাজ করছে বা কত ভালো কাজ করছে বা খারাপ কাজ করছে এটা দুজন ব্যক্তি ভালো করে বলতে পারবেন, তারা হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

প্রসঙ্গত দিলীপ ঘোষকে, বলতে শোনা গিয়েছিল, “গত কয়েক মাস ধরে সিবিআই তদন্ত চলছিল কিন্তু তার কোনো ফল প্রকাশ্যে আসছিল না। কেউ ধরা পড়েনি, কোনও তথ্য আসছিল না। সর্ষের মধ্যেই ভূত ছিল জানার পর কিছু অফিসারকে পরিবর্তন করা হয়েছে– যা হয় আর কি। সবার একটা পেট আছে। সবাই বিক্রি হয়। তার দাম থাকে। কেউ লাখে, কেউ কোটিতে, কেউ ১০০ কোটিতে। সেভাবে বিক্রি হচ্ছিল। এটা সরকার বুঝতে পেরেছে। আমি যতদূর শুনেছি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ প্রয়াসে ইডি এসেছে। তারপর কাজ শুরু হয়েছে। তাই যারা সেটিং করছিলেন তাদের কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, এতদিন তো কোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত করছিল। ইডি কোথা থেকে ছুটে এল? ইডিকে সরানোর জন্য অনেকে কোর্টেও গেছেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *