আমাদের ভারত, হাওড়া, ১৮ নভেম্বর: স্থানীয় পুলিশের সাহায্য ছাড়া কখনই গরু পাচার সম্ভব নয়, সুতরাং গরু পাচার চক্রে যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিকরা জড়িত আছে সিবিআই রেডারে তাদেরও ধরা পড়া দরকার। গরু পাচার চক্রে বিএসএফ আধিকারিকের গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে বুধবার এই কথা বলেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন উলুবেড়িয়ার বীরশিবপুরে একটি রিসর্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই কথা বলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
বুধবার উলুবেড়িয়ায় পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, হাওড়া সদর, কাঁথি, তমলুক–বিজেপির এই পাঁচটি সাংগঠনিক জেলার কার্যকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এদিনের এই বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বিশেষ পর্যবেক্ষক সুনিল দেওধর, সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো, কোনার হেমব্রম সহ অন্যান্যরা। সূত্রে খবর বৃহস্পতিবার হুগলি, শ্রীরামপুর, ঘাটাল, আরামবাগ ও হাওড়া গ্রামীণ জেলা বিজেপির কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কৈলাস বলেন, সংগঠনকে মজবুত করার লক্ষ্যে জেলা, মন্ডল, শক্তি কেন্দ্র, বুথ সহ সর্বত্র একটি শক্তিশালী পিরামিড তৈরি করা হচ্ছে। আর সেই কারণেই এই বৈঠক। এদিন তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপির এই বৈঠক দেখে তৃণমূল ভয় পেয়েছে তাই তারা খুনের রাজনীতি করছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, তৃণমূলের এই সমস্ত কাণ্ডকারখানা, দুর্নীতিকে সামনে রেখে আগামী দিনে নির্বাচনী প্রচার ও আন্দোলনে নামবে বিজেপি।
প্রশান্ত কিশোর কে নিয়ে কটাক্ষ করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলটাকে কর্পোরেট সংস্থার কাছে বন্ধক রেখেছেন। যেটাকে দলের অনেক নেতাই মেনে নিতে পারছেন না। আগামী দিনে এর মাশুল তৃণমূলকে দিতে হবে বলেও দাবি করেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এদিন তিনি দাবি করেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ২০০ টির বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে।