আমাদের ভারত, ১০ ফেব্রুয়ারি: জনগণের রাস্তা আটকে অনির্দিষ্টকাল ধরে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ দেখানো যায় না। প্রায় দু’মাস ধরে দিল্লির শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী যে বিক্ষোভ চলছে তা নিয়ে এবার এমনই মন্তব্য করলো দেশের শীর্ষ আদালত। ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে এই মর্মে নোটিশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দীর্ঘদিন ধরে চলা শাহিনবাগে বিক্ষোভের ফলের যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। তাই সেখান থেকে বিক্ষোভকারীদের সরাতে আদালতে একটি আবেদন জমা পড়েছিল। সেই মামলার শুনানিতেই এমন মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানি।
দীর্ঘদিন ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। জনগণ ব্যবহার করে এমন কোনও জায়গায় এইভাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিক্ষোভ দেখানো যাবে না। প্রতিবাদ করতে হলে নির্ধারিত জায়গাতেই করতে হবে। এভাবে জনগণের ব্যবহৃত রাস্তা আটকে রাখা যায় না। বলে মন্তব্য করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
নাগরিকত্ব আইন, এনআরসি, এনপিআরের প্রতিবাদে দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভ অবস্থান চলছে। এই আন্দোলনের ফলে ট্রাফিকের গতি শ্লথ হয়েছে। ফলে মানুষের প্রতিদিন সমস্যা হচ্ছে। এই অভিযোগ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে আবেদন করে বিক্ষোভ সরিয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছিল।
আদালত আরও বলেছে “আপনি কি একটা পাবলিক রুট আটকে রাখতে পারেন? একজন কোনওভাবেই পাবলিক রুট আটকে অন্যদের অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে না।” কিন্তু এখনই বিক্ষোভে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়ায় আপত্তি করেছে আদালত। বিচারপতি বলেছেন,” অন্যদের বক্তব্য আমাদের শুনতে হবে”।
শুক্রবার আদালত বলেছিল, দিল্লি নির্বাচনের পর সোমবার এই বিষয়ে দায়ের করা দু’টি জনস্বার্থ মামলার শুনানি হবে। আদালত আজ সমস্যার কথা মেনে নিয়ে বলেছে,” সমস্যা যে হচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারছি”