আমাদের ভারত, ৭ নভেম্বর:
লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে পারেন আইএসএফের নৌশাদ সিদ্দিকী। এমন খবর এখন হাওয়ায় ভাসছে। আর এই বিষয়টিকে আরো উস্কে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন, “খেলা হবে।”
সোমবার বিকেলে রাজভবনে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বসের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত। বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সুকান্ত বলেন, ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে বিজেপিও লড়াই দেবে। বিজেপি ও বলবে “খেলা হবে।” সুকান্ত বলেন, “যদি নৌশাদ সিদ্দিকী প্রার্থী হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তাহলে খেলা জমে যাবে। আমরাও বলবো খেলা হবে। বিজেপি লড়াই দেবে। আগেও ভালো ফল হয়েছে ওখানে। এবার জিতবে।”
তবে নৌশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হতে পারেন, আর সেটা নাকি বিজেপি স্পনসরড, এমন অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “যে যেখানে খুশি প্রার্থী হতে পারেন। বিজেপি স্পনসর কেন হতে যাবে? তাদের সঙ্গে বিজেপির মতামত সম্পূর্ণ উল্টো।”
এদিকে শুভেন্দু অধিকারীর তোলা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস সম্পর্কে অখিল গিরির অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁর নিম্ন রুচি ও নিম্ন শিক্ষার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। যারা আস্তাকুঁড়ে পড়েছিল তৃণমূল তাদের নেতা-মন্ত্রীর পদে বসিয়েছে। এর আগেও রাজ্যের কারামন্ত্রী দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছিলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হয়ে ক্ষমা চেয়েছিলেন, অখিল গিরিকেও ক্ষমা চাইতে হয়েছিল। এবার রাজ্যপালকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন অখিল।
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য ঘিরে চর্চা এখন তুঙ্গে। কেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিলেন সেই প্রশ্ন দলের অন্দরেও। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, ওনার কথায় দ্বৈত অর্থ থাকতে পারে। উনি হয়তো বলছেন দিদি জানে। দিদি যা বলেছে করেছেন, তিনি নিজে নির্দোষ। তিনি আরও বলেন, চুরি করেছে, তদন্ত হয়েছে জেনে গিয়েছে তৃণমূলের নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই জানতেন না, প্রশাসন জানত না এটা কী করে হতে পারে? অপেক্ষা করুন বালু আলু অনেকেই জেলে যাবেন।