cultivation, flowers, income, বিকল্প আয়ের পথ হিসাবে সজনে ফুল চাষের আহ্বান জানিয়ে প্রচার বাঁকুড়ায়

সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৪ ফেব্রুয়ারি: শীতের মরশুমে খেজুর গুড় তৈরী যেমন একটি বিকল্প আয়ের পথ, ঠিক তেমনি বসন্তে সজনে ফুলের চাষও হয়ে উঠবে একটা বিকল্প আয়ের পথ।এমনই প্রচার শুরু করেছে একটি পরিবেশবাদী সংস্থা।
সজনে ফুলে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, বি২, ও ভিটামিন সি।এছাড়াও রয়েছে আয়রন, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম। শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মেটায় সজনে ফুল। যৌন ক্ষমতা বৃদ্ধি ও বন্ধ‍্যাত্বের সমস্যা দূর করতে সজনে ফুলের জুড়ি মেলা ভার। গ্ৰাম বাংলায় সজনে ফুল রান্না করে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে। এই ফুল খাওয়ার প্রচারে নেমে এই তথ্যই প্রচার করছেন পরিবেশবাদী এই সংস্থা।

মাই ডিয়ার ট্রিজ এন্ড ওয়াইল্ডস নামক এই পরিবেশবাদী সংস্থার পক্ষে সঙ্গীতা ধর বিশ্বাস ও ঝর্ণা গাঙ্গুলি জানান, গত দু’ বছর ধরে তারা সজনে ফুল চাষের জন্য প্রচার চালাচ্ছেন। তাদের প্রচারে প্রভাবিত হয়ে সজনে ফুল চাষ করে লাভবান হয়েছেন বারিদ রায়, নকুল বাউরি, ভ্রমর মন্ডলদের মতো বেশ কয়েকজন চাষি বলেও তারা দাবি জানান। শীতের গমন ও বসন্তের আগমনের মধ্যবর্তী সময়ে জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদিতে আক্রান্ত হওয়া ঠেকাতে সজনে ফুল রান্না করে খাওয়া হয়। সজনে ফুলের ভেষজ গুণের কারণে এর চাহিদা রয়েছে। বর্তমানে এই ফুল দেড়শো থেকে আড়াইশো টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়। একটি গাছ থেকে অনায়াসেই ১৫ কেজি থেকে ২০ কেজি ফুল পাওয়া সম্ভব। কাজেই এই ফুলের চাষ করে বৎসরে ভালো টাকা উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।

সঙ্গীতা দেবী জানান, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের আর্থিক সহায়তায় গত দু’বছর ধরে এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *