সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ১ ডিসেম্বর: আগামী ৩ ডিসেম্বর ডিভিসির শ্রমিক সংগঠনগুলির নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঝাড়খণ্ড ও এরাজ্যের গোটা দামোদর অববাহিকাজুড়ে টানটান উত্তেজনা শ্রমিক
সংগঠনগুলির মধ্যে। প্রত্যেকটি প্রকল্প এলাকায় তেরঙা, লাল ও গেরুয়া পতাকায় ছেয়ে গেছে। চলছে প্রচারে টক্কর দেওয়ার প্রতিযোগিতা।
কয়েকদিন আগে ডিভিসির মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পে সিটু অনুমোদিত ডিভিসি শ্রমিক ইউনিয়নের হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে গেলেন সিপিআইএম নেতা তথা সংগঠনের সভাপতি আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তারপর শনিবার তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন ডিভিসি কামগার সংঘের সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এবং সংগঠনের অল ভ্যালি সাধারণ সম্পাদক পুষ্পেনজিত দাস নির্বাচনী প্রচারে ঝড় তুলে দিয়ে গেলন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়া জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়, ইউনিট সেক্রেটারি মৃত্যুঞ্জয় মাজি, শালতোড়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্তোষ মন্ডল, পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি অভিজিৎ ঘটক, ডিভিসির ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন হেমব্রম সহ অনেকে।
এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শ্রমিক সংগঠনগুলির প্রচারের ঝড় উঠেছে তুঙ্গে। আইএনটিইউসির কর্মচারী সংঘ, তৃণমূলের কামগার সংঘ, সিআইটিইউ- এর শ্রমিক ইউনিয়ন, ইউটিসির স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, আরএসএস শ্রমিক সংগঠন বিএমএস এবং এইচএমকেইউ- এই ৬টি শ্রমিক সংগঠন নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে। ডিভিসির মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পে প্রচারে এসে সিপিআই(এম) নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য ডিভিসিকে বেসরকারি হাতে তুলে দেবার জন্য মোদী সরকারের চক্রান্তের কথা বলে গেছেন। পাশাপাশি তৃণমূল ডিভিসির অংশীদার থাকা সত্ত্বেও রেগুলেরিটি কমিটি থেকে তাদের দুই প্রতিনিধি প্রত্যাহার করে মোদী পরোক্ষে সমর্থন করেছেন। তাই ডিভিসিকে বাঁচাতে সিআইটিইউ পরিচালিত ডিভিসি শ্রমিক ইউনিয়নকে ভোট দেবার আহ্বান জানান। শনিবার মন্ত্রী শোভোনদেব চট্টোপাধ্যায় শেষ প্রচারে ঝড় তুলে গেলেন। ডিভিসিকে বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের চক্রান্তের অভিযোগ তুলে তার তীব্র সমালোচনা করেন। পাশাপাশি বিগত নির্বাচনে জয়ী শ্রমিক ইউনিয়নের বিরুদ্ধেও ডিভিসির ম্যানেজমেন্ট ও শ্রমিক নেতাদের আঁতাতের কথা বলে বিকাশ ভট্টাচার্যদের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে গেলেন। তিনি বলেন, সারাদেশে বিজেপি বিরোধী একমাত্র মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ডিভিসিকে রক্ষা করতে পারে একমাত্র তৃণমূল শ্রমিক সংগঠন এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরজন্য পার্লামেন্টে ঝড় তুলতে হবে। কিন্তু ওরা তো শূন্য। কে কথা বলবে মোদী, শাহর চোখে চোখ রেখে। সিটুর অল ভ্যালি কার্যকরী সভাপতি সমীর বাইন এদিনের প্রচার নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, শোভনদেববাবুরা কামগার সংগঠনের নামে তৃণমূলের সভা করে গেলেন।