সোমনাথ বরাট, আমাদের ভারত, বাঁকুড়া, ২৬ ডিসেম্বর: আজ বৃহস্পতিবার তুলসী পূজন দিবস পালিত হলো বাঁকুড়ায়। জলসমৃদ্ধ, নির্মল ও সবুজ ভারত গড়ে তোলার জন্য তুলসি গাছ লাগানো ও বাঁচানোর আহ্বান জানিয়ে অভিনব সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল বাঁকুড়ায় নিধুবন এলাকায়।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের এনভায়রনমেন্টাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের অঙ্গ হিসাবে মাই ডিয়ার ট্রিজ অ্যান্ড ওয়াইল্ডস এই অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছিল। শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত এই কর্মশালায় আলোচনা করা হয় যে শুধু পূজা অর্চনা ও ধর্মীয় কারণে তুলসী গাছ লাগানোর আবেদন জানাচ্ছেন না তারা। জীবনের জন্য গাছ অপরিহার্য। তারা বায়ুর মান উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রকৃতি ও পরিবেশ সুরক্ষায় গাছের অনেক অবদানের মধ্যে একটি হলো তাদের অক্সিজেন উৎপাদন ক্ষমতা। বেশিরভাগ গাছ দিনের বেলায় সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাতাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড টেনে নিয়ে অক্সিজেন ছেড়ে দেয়, আর রাতে শুধুমাত্র শ্বাস- প্রশ্বাস চালায়। যেখানে তারা অক্সিজেন গ্রহণ করে এবং কার্বন ডাই অক্সাইড ছেড়ে দেয়। তবে বেশকিছু গাছ আছে যারা রাতেও অক্সিজেন বাতাসে ছেড়ে দিতে পারে। এই গাছগুলি সারাক্ষণই বাতাসের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। তুলসী সেই গাছগুলির একটি।
তুলসী বাড়ির বাতাসের মান উন্নত করার একটি প্রাকৃতিক এবং কার্যকর উপায়। তাছাড়া তুলসী ঠান্ডা, কাশি এবং হাঁপানির মতো রোগের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহৃত হয়। তাই তুলসী গাছ লাগানো খুবই জরুরি।

