পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২২ জুলাই: বহু প্রতীক্ষিত দুই মেদিনীপুর জেলার বন্যা প্রতিরোধের স্থায়ী প্রকল্প ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ না করলে রাজ্য সরকারই কয়েক বছরে মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ করবে, অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের আগে আরামবাগের এক প্রশাসনিক সভায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইতিমধ্যে আমরা নবান্নে সেচ ও জলপথ দপ্তরের প্রধান সচিব প্রভাত মিশ্রের সাথে দু’বার দেখা করেও এ ব্যাপারে কোনো সুস্পষ্ট সরকারি নির্দেশিকা জানতে পারলাম না। অন্যদিকে কেন্দ্রের নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী, জলশক্তি দপ্তরের মন্ত্রীকেও আমরা গত ২৭ জুন চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করে বর্ষার পরই শীলাবতী নদী এলাকায় কাজ শুরুর দাবি জানিয়েছিলাম। আগামীকাল ২৩ জুলাই কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করার কথা ঘোষণা হলেও আজও টাকা বরাদ্দের বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটির পক্ষ থেকে ঘাটালের অন্নপূর্ণা আর্কেডে এক সাংবাদিক বৈঠক করা হয়।
কমিটির যুগ্ম সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র নায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আর কোনও প্রতিশ্রুতি নয়, বর্ষার পরই কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকার কর্তৃক অর্থ বরাদ্দ করে শীলাবতী নদী এলাকায় কাজ শুরুর দাবিতে ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার ঘাটালের বরদা চৌকান থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত ভুক্তভোগী মানুষের এক পদযাত্রা কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই কর্মসূচিতে এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণকে সামিল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সাংবাদিক বৈঠকে নারায়নবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, কমিটির অপর যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ মাইতি, সহ-সভাপতি সত্য সাধন চক্রবর্তী, অফিস সম্পাদক কানাইনাল পাখিরা প্রমুখ।
নারায়নবাবু সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জানান, আগামী কাল কেন্দ্রীয় পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করা না হলে, ঐদিন বাজেটের প্রতিলিপি পুড়িয়ে বিক্ষোভ দেখানো হবে। রাজ্য সরকারের কথামত ডিসেম্বর মাসের পর মাস্টার প্ল্যানের কাজ শুরু না হলে কমিটি কলকাতা অভিযান কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, সেচমন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন দেওয়া হবে।