সাথী দাস, পুরুলিয়া, ৯ ফেব্রুয়ারি: ফের কলকাতা উচ্চ আদালতের রায়ে ঝালদা পৌরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জি। আদালতের নির্দেশে খুশি কংগ্রেস শিবির।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরেই ঝালদা পৌরবোর্ড দখলকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে টানাপোড়ন লেগেই রয়েছে। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা উচ্চ আদালত পর্যন্ত। কলকাতা উচ্চ আদালতের নির্দেশে ১২ আসন বিশিষ্ট ঝালদা পৌরসভার পৌরপ্রধান নির্বাচনে জয়লাভ করে কুর্সিতে বসেছিলেন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ঠিক ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শীলা চট্টোপাধ্যায়ের সদস্য পদ খারিজ করে দেন ঝালদার মহকুমা শাসক। অন্যদিকে রাজ্য পৌর ও নগর উন্নয়ন দফতরের পক্ষ থেকে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকারকে। এই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নির্দল কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পৌরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। কলকাতা উচ্চ আদালত ঝালদা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের কলকাতা উচ্চ আদালতে দ্বারস্থ হয় তৃণমূল। এই মামলায় আজ কলকাতা উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দল কাউন্সিলর শীলা চ্যাটার্জিকে ঝালদা পৌরসভার পৌর প্রধানের দায়িত্ব দেন। এই ঘটনায় ফের একবার মুখ থুবড়ে পড়ল ঘাসফুল শিবির।

নব নিযুক্ত পৌরপ্রধান শীলা চ্যাটার্জি বলেন, “রাজ্যে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, আমি মহিলা পুর প্রধান হওয়ায় তৃণমূলের এত জ্বালা কেন? যেখানে আদালত রায় দিচ্ছে সেখানে তৃণমূল এমন করার জন্য ঝালদাবাসী ক্ষমা করবেন না।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “আদালতের রায় শিরোধার্য। তবে, দলীয়ভাবে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আদালতের একটি নির্দেশে আপাতত চেয়ারম্যানের পদে থাকা কংগ্রেসের পূর্ণিমা কান্দু বলেন, “শীলা দি’কে আমরা প্রথম থেকেই চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছিলাম। আদালত তা বহাল রেখেছে। আমরা খুশি।”

