আমাদের ভারত, ২৭ ফেব্রুয়ারি: ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতেই অর্থাৎ চলতি মাসের শুরুতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ কার্যকর হবে। তিনি আরো বলেছিলেন, শীঘ্রই এই আইন কার্যকরের বিষয় বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হবে। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশে নির্বাচনী আচরণ বিধি কার্যকর হওয়ার আগেই সিএএ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেই সিএএ পাস করিয়েছিল মোদী সরকার। ওই আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো প্রতিবেশী মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সেদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এদেশে আশ্রয় চান, তাহলে আশ্রয় দেবে ভারত। সংসদের দুই কক্ষে এই বিল পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতিও এই সিএএ বিলে অনুমোদন দিয়েছিলেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সিএএ কার্যকর করা নিয়ে কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি।
গত মাসে এক সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সিএএ কার্যকরের বিজ্ঞপ্তি লোকসভা নির্বাচনের অনেক আগেই জারি হয়ে যাবে। এই আইনের নিয়ম বা ধারা তৈরি হয়ে গেছে। নাম নথিভুক্তকরণের জন্য অনলাইন পোর্টাল প্রস্তুত। তিনি আরো জানিয়েছিলেন, সিএএ-র গোটা প্রক্রিয়াই অনলাইনে হবে। সেখানে আবেদনকারীকে জানাতে হবে তারা কবে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন।
করোনা পর্বের আগে থেকেই দেশের নানা প্রান্তের সিএএ বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। বিজেপি বিরোধী দলগুলি আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল। পশ্চিমবঙ্গসহ একাধিক বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলি ধর্মীয় পরিচয়ের ভিত্তিতে সিএএ কার্যকরের বিরুদ্ধে ছিল। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই বিষয়টি মাথায় রেখেই গোটা প্রক্রিয়ায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা ন্যূনতম রাখার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্র।
এখনো পর্যন্ত লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি কমিশন। শোনা যাচ্ছে, মার্চ মাসের প্রথম দিকেই ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা হতে পারে। আর দিনক্ষণ ঘোষণার পরই দেশে কার্যকর হবে নির্বাচন আচরণ বিধি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে তার আগে সিএএ কার্যকর করতে চাইছে মোদী সরকার।
আগামী মাসের শুরুতেই দেশজুড়ে কার্যকর হয়ে যাবে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এই দাবিতে শোরগোল উঠেছে, জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
সি এ এ কার্য্যকর হবে সাধুবাদ জানাই।
কিন্ত সি এ এ কার্য্যকর করা আধিকারিক দের দুর্নীতি বিরোধী টিকাকরণ একান্ত কাম্য।
না হলে সি এ এ সঠিক প্রয়োগে বিড়ম্বনা থেকে যাবে ।।
কংগ্রেস সাধারণ মানুষের রক্তের উপর দিয়ে দেশ ভাগ করেছে ।
সেই রক্ত ঝরেছে কোটি কোটি নিরিহ হিন্দু ধর্মের মানুষের। ।
এই সি এ এ যেন কোন ভাবে হিন্দুদের বিড়ম্বনা সৃষ্টি না করে সেটা নিশ্চিত করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আবেদন জানাই। ।