আমাদের ভারত, ১২ আগস্ট: লোকসভা ভোট দরজায় কড়া নাড়ছে। রাজনৈতিক দল গুলিও ময়দানে নেমে পড়েছে। সবদল যেমন নিজস্ব কিছু ইস্যু ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রচার শুরু করেছে। তেমনি বিজেপির অন্যতম ইস্যু সিএএ। পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু মানুষের কাছে দেওয়া বিজেপির এই প্রতিশ্রুতি ২৪-এর লোকসভার আগেই লাগু করা হবে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনের ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সভাপতি জেপি নাড্ডা। পশ্চিমবঙ্গে এই সম্মেলন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে ধন্যবাদ জানান সুকান্ত মজুমদার। একই সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিএএ ও এনআরসি প্রসঙ্গে বড় দাবি করেন।
১৪ আগস্ট বিজেপি বিভাজন বিভীষিকা দিবস পালন করে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সিএএ লাগুর কথা জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। সুকান্ত মজুমদার বলেন, বিভাজন বিভীষিকা দিবস আমরা ১৪ আগস্ট পালন করি। সেদিন ভারত মাতাকে ত্রিখন্ডিত করা হয়েছিল। পূর্ব পাকিস্তান, পশ্চিম পাকিস্তান এবং মাঝখানে হিন্দু প্রধান ভারতবর্ষ। এই দিনটিতে আমরা মৌন মিছিল করবো বিভিন্ন জেলায়।”
এরপরই এনআরসি ও সিএএ লাগুর কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, এনআরসি আর সিএএ দুটো ভিন্ন জিনিস। বাঘ ও ডায়নোসর যেমন দুটো আলাদা প্রজাতি, এনআরসি ও সিএএও তেমনি আলাদা। দুটোকে মেলাবেন না। অন্যদিকে সিএএ লাগুর ব্যাপারে তিনি বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টি বরাবর বলে এসেছে, আজ না হোক কাল সিএএ হবেই। ভারতীয় জনতা পার্টির রাজ্য সভাপতি হিসেবে বলছি, বাংলার যত উদ্বাস্তু জনগণ আছে, তাদের আমি আশ্বস্ত করছি ভারতীয় জনতা পার্টির পশ্চিমবঙ্গ শাখা সিএএ লাগুর করার জন্য যত লড়াই করতে হয় করবো।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা অমিত শাহের উপর বিশ্বাস রয়েছে ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে আমরা সিএএ লাগু করেই ছাড়বো।”
বিজেপির ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদ সাতটি রাজ্যের ১৩৪ জন প্রতিনিধিকে নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বুকে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটা একটি বড় সম্মানের বিষয় বলেই দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তাঁর কথায়, এত সন্ত্রাস, এত অত্যাচার, ভোট লুট, তার মধ্যে পঞ্চায়েতি রাজ পরিষদের জন্য পশ্চিমবঙ্গ কে বেছে নেওয়া হয়েছে, যা কিনা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। ভোট লুট, সন্ত্রাসের পরেও যেভাবে ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা এখানে জয়লাভ করেছেন প্রায় ১২ হাজার আসনে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে অন্যান্য রাজ্য যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে সেখানে পশ্চিমবঙ্গের মতো স্পিড ব্রেকার মুখ্যমন্ত্রী থাকার পরেও সে প্রায় ৪০ লক্ষ ঘর এই রাজ্যের মানুষকে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দিতে পেরেছি। তার দাবি, মোদীর নেতৃত্বে ভারতের অতি গরিবের সংখ্যা এখন এক শতাংশের নিচে চলে এসেছে, আন্তর্জাতিক প্যারামিটার এই তথ্য প্রদান করেছে।