আমাদের ভারত,৩০ জানুয়ারি: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাময়িকভাবে কূটনৈতিক স্বস্তি পেল ভারত। সিএএ নিয়ে আনা প্রস্তাবের ওপর এখনই ভোটাভুটি হচ্ছে না ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পার্লামেন্টে। ভোটাভুটি স্থগিত করা হয়েছে মার্চ পর্যন্ত। এই ভোট স্থগিত হওয়ার পেছনে মোদী সরকারের কূটনৈতিক জয় দেখছে বিশেষজ্ঞ মহল।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন পার্লামেন্টে পাঁচটি আলাদা আলাদা প্রস্তাব জমা পড়েছে। ৭৫১ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচশোর বেশি সদস্য এই প্রস্তাব আনে। কিন্তু প্রস্তাবটি যখন তোলা হয় তখন উপস্থিত ৪৮৩ জন সদস্যের মধ্যে ভোট স্থগিত করা পক্ষে রায় দেয় ২৭১ জন। আর ১৯৯ জন প্রস্তাব স্থগিতের আপত্তি জানিয়েছিল। ১৩ জন ভোটদানে বিরত ছিল।
সূত্রের খবর অনুযায়ী দিল্লির কূটনীতির কারণেই সিএএ বিরোধি প্রস্তাবে ভোটাভুটি পিছিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে হাতে বেশ কিছুটা সময় পাওয়ায় সিএএ বিরোধী সদস্যদের কাছে পৌঁছতে পারবে দিল্লি। এর ফলে কূটনৈতিক স্ট্র্যাটেজি নেওয়া সম্ভব হবে মোদী সরকারের পক্ষে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব আনার জন্য পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বংশোদ্ভূত শাফাক মোহাম্মদকে দায়ী করেছে ভারত। সিএএ বিরোধী প্রস্তাব যারা এনেছেন তাদের বেশিরভাগ সরব হয়েছেন কাশ্মীর নিয়েও। মার্চ মাসে ইউরোপিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ব্রাসেলসে যাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার আগেই এই ঘটনা আন্তর্জাতিক মহলের চাপে ফেলেছে দিল্লিকে।রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার কমিশন বলেছে, ভারতের সিএএ মৌলিকভাবে বৈষম্যমূলক। কিন্তু কূটনৈতিক পদক্ষেপের কারণে সাময়িক স্বস্তিতে রয়েছে ভারত।
ভারত এই প্রস্তাব আনার বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছে,কাশ্মীর ও সিএএ দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই এই প্রস্তাবের বিষয়ে আবারও ভাবনা চিন্তা করার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে আর্জি জানিয়েছে দিল্লি। ভারত বলেছে, সংসদের দুই কক্ষেই বিতর্কের পর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া মেনেই আইন পাস করা হয়েছে। প্রতিবেশী দেশগুলির সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতেই এই আইন আনা হয়েছে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রেসিডেন্টকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে যে প্রস্তাব আনা হয়েছে তা সঠিক নয়।