পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৪ নভেম্বর: একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর গত লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে রাজ্য বিজেপির। সাম্প্রতিক সদস্য সংগ্রহ অভিযানেও দলের ব্যর্থতার ছবিটি স্পষ্ট হয়েছে। আর রাজ্যের ছয়টি উপ-নির্বাচনের ফলাফলে যে একেবারে ধরাশায়ী হয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজ্য বিজেপির এই বেহাল পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে না হলেও ভেতরে ভেতরে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ক্ষোভ বাড়ছে।
রাজ্যের ছটি আসনের উপনির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে সোজাসুজি প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, উপনির্বাচনের ছুটি। আসনের ফলাফল কী হতে চলেছে সেটা জানাই ছিল। ছ’টি আসনেই যে দলের হার হবে সেটা কোনো প্রত্যাশিত বিষয় ছিল না। ভোট গ্রহণের পরেই বলেছিলাম মাদারিহাট কেন্দ্রে কিছুটা লড়াই হলেও অন্য পাঁচটি কেন্দ্রে দলের ফলাফল ভালো হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। শনিবার ফলাফল প্রকাশের পর সেটাই দেখা গেছে। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব দলের দায়িত্ব পালনে যথাযথ ভূমিকা নেয়। দলকে মাথা তুলে দাঁড় করানোর ক্ষেত্রে নেতৃত্বের পরিবর্তন আবশ্যক। দলে যারা শীর্ষে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদেরকে এই বিষয়টি ভেবে দেখতে হবে। দলে যোগ্য নেতৃত্বদের জায়গা দিতে হবে।
আগামী ২৬ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। আজ খড়্গপুরে বিজেপি সদস্যতা অভিযানে এসে এমনটাই জানালেন বিজেপির অন্যতম নেতা দিলীপ ঘোষ। দলে থেকে দলের বিরুদ্ধে কোন রকম মন্তব্য করা থেকেও বিরত থাকার বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, সাধারণত উপ নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষেই ভোট হয়। কর্ণাটকেও হয়েছে।