জে মাহাতো, আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ৭ সেপ্টেম্বর: সপুষ্পক ভেষজ উদ্ভিদ বাসকের মধ্যশিরা থেকে পাওয়া গেল গুচ্ছমূল। পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে নানা আশ্চর্য ঘটনা। যার কিছু আমাদের নজরে পড়ে আবার কিছু ঘটনা আমাদের নজরের বাইরে ঘটে। উদ্ভিদ জগৎও এই প্রক্রিয়ায় বাইরে নয়।
ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যার ছাত্রী ফতেমা খাতুনের নজরে এসেছিল পেঁপের ভিতরে পেঁপে। তারপরই আরও অভাবনীয় ঘটনা ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালে। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মিমোসা ঘোসের নজরে এসেছিল লেবুর ভেতর আস্ত একটি লেবু। যা একটি বিরলতম ঘটনা বলে জানিয়েছিলেন উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ অমলকুমার মন্ডল।এবার উদ্ভিদ জগতের আরও একটি আশ্চর্যজনক ও বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরে। শনিবার পটাশপুর থানা এলাকার দেউলবাড় গ্রামে দেখা গেল বাসক পাতা (Justicia adhatodaL) থেকে বেরিয়েছে গুচ্ছমূল।

মাটিতে পড়ে থাকা একাধিক পাতায় এমন দৃশ্য দেখা যায়। তা নজরে আসে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিদ্যা ও বনবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গৌতম পণ্ডার। উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের একজন জিজ্ঞাসু ছাত্র হিসেবে তাঁর মনে প্রশ্ন এই ধরণের সপুষ্পক উদ্ভিদের ক্ষেত্রে তো পরাগমিলন ঘটে। অঙ্গজ জনন তো দেখা যায় না। তা সত্ত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল? তাও আবার পাতার কোনও ধার থেকে নয়, মধ্য শিরা থেকে মূল বেরিয়েছে! ছাত্র গৌতম পণ্ডার কথায়, আমরা সাধারণত দেখেছি পাথরকুচি, বিগনিয়া ইত্যাদির পত্রজ মূল দেখা যায়। বাসকের ক্ষেত্রে তা দেখে অদ্ভুত লেগেছে। আমরা এটাকে কি অস্থানিক মূল বলব না পত্রজ মূল? পাথরকুচির ক্ষেত্রে মূলত আমরা দেখেছি, পাতার কিনারা থেকে মূল বেরোয়, এবং তা থেকে মুকুল হয়ে পুনরায় নতুন চারা গাছের জন্ম হয়, কিন্তু এ ক্ষেত্রে মূলটি উৎপন্ন হয়েছে পাতার মধ্য শিরা থেকে, এটা আরও আশ্চর্যের ব্যাপার।’’
সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অমলকুমার মন্ডলকে বিষয়টি জানান। সব শোনার পর কিছু ব্যাখ্যাও দেন তিনি। যদিও সম্পূর্ণ কারণ জানতে গবেষণার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

