আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১৮ সেপ্টেম্বর: বিশ্বকর্মা পুজোর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গুলি করে খুন করা হল আগরপাড়ার আজাদ হিন্দ নগরের বাসিন্দা পেশায় হোসিয়ারি কারখানার কর্মী তথা স্থানীয় মৃৎ শিল্পী লোকনাথ দাসকে (২৭)। শুক্রবার সকালে ঘোলা থানার অন্তর্গত ব্যারাকপুর কল্যাণী হাইওয়ের পাশে মুড়াগাছা এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার হয় লোকনাথ দাসের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ। এই ঘটনায় ঘোলা থানা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে উত্তেজিত জনতা স্থানীয় এক সন্দেহভাজন দুষ্কৃতীকে ধরে গণ ধোলাই দেয়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিশ। লোকনাথ দাসের মৃতদেহটি ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
জানাগেছে, আগরপাড়ার একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতেন লোকনাথ দাস। অবসর সময়ে মাটির মূর্তিও তৈরী করতেন। বৃহস্পতিবার বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষ্যে সে কারখানায় গিয়েছিল। একটু বেশি রাতে বাড়ি ফিরে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। লোকনাথ দাস, তার ঠাকুর মা শোভা দাসের সঙ্গে একই বাড়িতে থাকতেন। বৃদ্ধা ঠাকুরমার সব সাংসারিক কাজ সেই করে দিত। লোকনাথ দাসের ঠাকুরমা শোভা দাস বলেন, “আমার নাতি রাতে ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছিল। রাত দেড়’টার সময় ওকে কেউ ডাকাডাকি করে। তখন আমি ওকে ঘুম থেকে ডেকে দিই। ওই যুবকরা লকু লকু নাম ধরে ডাকছিল। এরপর ও ঘর থেকে হাঁটতে হাঁটতে বাইরে বেরিয়ে যায়। তারপর সারা রাত বাড়ি ফিরে আসেনি। সকালে সবাই এসে বলছে আমার লকুকে মেরে ফেলেছে। ও এই পাড়ায় কারোর সঙ্গে মিশত না। গেঞ্জির কারখানায় কাজ করত। ওদের সঙ্গেই ওর মেলামেশা ছিল। তবে কার সঙ্গে কি অশান্তি চলছিল, আমি জানি না। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি চাই আমি।”
স্থানীয় বাসিন্দাদের ধারনা, এলাকার কিছু দুষ্কৃতী এই ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।এদিন সকালে সন্দেহ ভাজন একজনকে পাড়ার লোক ধরে ব্যপক মারধর করে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিশ। ওই যুবকের মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কেন এই ঘটনা ঘটেছে? কারা এর সঙ্গে জড়িত, সবই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এলাকা বাসীকে আশ্বস্ত করে পুলিশ জানিয়েছে, দোষীরা কেউ ছাড়া পাবে না।