সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা ১ ডিসেম্বর: মুর্শিদাবাদে ভারত– বাংলাদেশ সীমান্ত পার করে পদ্মায় ইলিশ ধরতে গিয়েছিলেন তিন মৎস্যজীবী। সেই মৎস্যজীবীদের আটক করা নিয়ে প্রথমে দু’দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে বাদানুবাদ এবং তারপরে চলে গুলি। আর ওই ঘটনাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ অর্থাৎ বিজিবির গুলিতে নিহত হন বিএসএফ কনস্টেবল বিজয় ভান সিংহ। রবিবার ১ ডিসেম্বর বিএসএফের ৫৫ তম রাইসিং ডে অনুষ্ঠানে ওই ঘটনা স্মরণ করে ডিআইজি এস এস গুলেরিয়া বলেন, এরপরে আর একবারও এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে নিজস্ব রণকৌশলে কড়া জবাব দেবে বিএসএফ।
রবিবার বিএসএফের রাইসিং ডে অনুষ্ঠান হয় উত্তর চব্বিশ পরগনায় দক্ষিণেশ্বরের কাছে আলম বাজারে টেগোর ভিলা বিএসএফ ক্যাম্পে। দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের সমস্ত সেক্টর অর্থাৎ মালদা, কৃষ্ণনগর, মূর্শিদাবাদ এবং কলকাতায় ১ থেকে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বচ্ছতা অভিযানের সূচনা করা হয়। বিভিন্ন এলাকার মান্যগণ্য ব্যক্তি স্কুলের শিশু সহ সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়ে এই স্বচ্ছতা অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেন বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গের ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি। এদিন একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এই অনুষ্ঠানে কাকমারি চরের এই ঘটনা সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের পর ফিরছিলেন ওই কনস্টেবল। সেই সময় গুলি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ইতিহাসে কখনো ঘটেনি। আমরা এই নিয়ে খুব তৎপরতার সঙ্গে বাংলাদেশের বর্ডার গার্ড অর্থাৎ বিজিবির সঙ্গে মিটিং করেছি। তারা জানিয়েছে, এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং কিছু ভুল বোঝাবুঝির জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। ওই সময় দায়িত্বে থাকা ডিআইজি, কমান্ড্যান্ট কে বদলি করে দেওয়া হয়েছে। আর যে হাবিলদার গুলি চালিয়েছিল তার কোর্টমার্শাল চলছে। এই সংক্রান্ত সমস্যা নথিপত্র বিএসএফকে দেখানো হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আমাদের নিজস্ব রণকৌশল এবং যুদ্ধাস্ত্র রয়েছে। আর একবার ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আমরা আমাদের নিজস্ব রণকৌশলে কড়া ভাষায় জবাব দেবো। এই কথা যেন বিজিবি মাথায় রাখে।”