গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার

রাজেন রায়, কলকাতা, ১৭ নভেম্বর: গরু পাচারকারীদের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ এবার গ্রেফতার করা হল বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমারকে। মঙ্গলবার সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। সারাদিন জিজ্ঞাসাবাদের পর সন্ধ্যায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জেবি ম্যাথু নামে এক বিএসএফ আধিকারিককে গ্রেফতার করার পর সতীশ কুমারের হদিশ পান সিবিআই গোয়েন্দারা। জেবি ম্যাথুকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালের মার্চে এনামূলকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার আগে সেই বছর জানুয়ারিতে ৪৭ লাখ টাকা নগদ-সহ কেরালার আলাপ্পুজা স্টেশন থেকে ম্যাথুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সেই তদন্তেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে সতীশ কুমারের যুক্ত থাকার তথ্য উঠে আসে।

জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মালদহে ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন সতীশ কুমার। যিনি এখন ছত্তিশগড়ের রায়পুরে মোতায়েন আছেন। বাংলা থাকার সময় তাঁর অধীনে মালদহে দুই এবং মুর্শিদাবাদে চার কোম্পানি বাহিনী ছিল। ওই ১৬ মাসে পাচারের আগে সীমান্তে ২০,০০০-এর বেশি গরু বাজেয়াপ্ত করেছিল বিএসএফ। কিন্তু পাচারকারীরা সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর জালে ধরা পড়েনি।
আদতে গরু নিয়ে আসা হলেও নথিতে সেগুলি হয়ে যেত ছোটো এবং কম ওজনের বা ‘বাছুর’। আর গরুর যে আসল দাম, তার থেকে কম দামে সেই ‘বাছুর’ নিলাম করা হত। সেখান থেকে বিএসএফ ও শুল্ক দফতর আধিকারিকদের মিলত ‘ঘুষ’। এই এএফআইআরে নাম রয়েছে বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের প্রাক্তন কমান্ডান্ট সতীশ কুমার, পাচার চক্রের মাথা এনামূল হক-সহ আনারুল শেখ এবং মহম্মদ গোলাম মুস্তাফার।
সেই মামলাতেই এবার সতীশ কুমার কে গ্রেফতার করল সিবিআই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *