আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ২ জানুয়ারি : জলপাইগুড়ি দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ, অভিযোগ মৃতার পরিবার ও বিরোধীদের। সোমবার মৃত ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন সিপিএম নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ জীতেন দাস। এলাকার পরিস্থিতি থমথমে, পুলিশ পিকেটিং রয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে ছাত্রীর বাড়িতে ঢুকে দরজা ভেঙ্গে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতার পরিবার থানায় অভিযোগ করে পাঁচ যুবকের নাম তুলে ধরেন। গ্রামের পাঁচ যুবক হৃদয় দেবনাথ, ধনঞ্জয় রায়, গোপাল তন্ত্র, রাহুল তন্ত্র ও রাজু তন্ত্র সকলের নাম উল্লেখ রয়েছে লিখিত অভিযোগে। ছাত্রী মৃত্যুর পর হৃদয়ের ফোন থেকে মৃত ছাত্রীর দিদিকে জানানো হয়েছিল ঘটনা। রবিবার ছাত্রীর মৃতদেহ ময়নাতদন্ত হয়।
মৃত ছাত্রীর মামা বলেন,”ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ১৫দিন সময় লাগবে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। পুলিশ কেসটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য গতকাল বলছে আত্মহত্যা ঘটনা।” এদিকে ছাত্রীর বাবা বলেন, “গত বছর এই ছেলেরা বাড়ির ঘেরা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকেছিল। পরে সালিসি সভায় ক্ষমা চাইলে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরাই আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করেছে। সকলের ফাঁসি চাই।”
এদিন ছাত্রীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে প্রাক্তন সাংসদ জীতেন দাস বলেন, “ময়নাতদন্ত হওয়ার আগে পুলিশ বলছে আত্মহত্যার ঘটনা। পুলিশ দলদাসে পরিণত হয়েছে। এখন ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, আমরা ধামাচাপা করতে দেব না। একজন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতার করতে হবে। সঠিক তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।”

