সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ অক্টোবর: রাতভর নিজের ঘরে বন্ধুদের সঙ্গে মদ্যপান। সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ। শরীরের একাধিক জায়গায় রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। পুলিশের অনুমান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে কোপানো হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা এলাকায়। যুবকের মায়ের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে ছেলেকে। ঘর থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনায় আটক ১। তবে কী কারণে খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম বাবলু কর্মকার। বয়স ৪৭ বছর। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। একাই থাকতেন বাড়িতে। পাশের ঘরে থাকেন তাঁর বৃদ্ধা মা। বাবলুর বিয়ে হলেও তাঁর স্ত্রী সঙ্গে থাকেন না বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা। শনিবার সকালে তার সাড়া না পেয়ে ঘরে গিয়ে পরিবারের সদস্যরা দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন বাবলু। শরীরের একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত, বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, প্রতিদিন মদ্যপান করতেন বাবলু। প্রতিদিনই কোনও না কোনও বন্ধু তাঁর সঙ্গে ঘরে বসেই মদ্যপান করতেন। শুক্রবার রাতেও বাড়িতে এক বন্ধু এসেছিলেন বলে জানিয়েছন পরিবারের সদস্যরা। তাঁরা ঘরে বসে মদ্যপান করছিলেন। পুলিশের অনুমান, মদ্যপান করার সময় কোনও কারণে বন্ধুর সঙ্গে ঝামেলা হয় বাবলুর। তারপরই তাকে খুন করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
মৃতের মা তরু কর্মকার জানিয়েছেন, “ছেলে একা থাকত। বিভিন্ন এলাকার বন্ধুরা আসত। আমি কাউকে চিনি না। কী কারণে ছেলেকে খুন করেছে তা জানি না।” মৃতের এক আত্মীয় রূপা সাউ বলেন, “বাড়িতে বন্ধুর সঙ্গে খাওয়াদাওয়া করছিলেন। তারপর সকালে গিয়ে দেখি বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কী কারণে খুন তা বলতে পারব না।”

