আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ১ নভেম্বর:
সম্পত্তির ভাগ নিয়ে দাদা ও বৌদির সঙ্গে বিবাদ। আর তার জেরে বৌদিকে নৃশংস ভাবে খুন করে পরিত্যক্ত কুয়োতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বোন, ভগ্নিপতি ও প্রতিবেশী এক মহিলার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেন। শনিবার সন্ধ্যায় এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২8 পরগনা অশোকনগর থানার ভুরকুন্ডা পঞ্চায়েতের সেনডাঙ্গা আনন্দপাড়া এলাকায়। মৃত গৃহবধূর নাম ইলা বিশ্বাস (৩৮)।
উল্লেখ্য, বছর তিনেক আগে এই রিনা মন্ডল নিজের মুরগি পোল্ট্রিতে ইলেকট্রিক লাইন দিয়ে রাখার জন্য ইলেকট্রিক শক খেয়ে মৃত্য হয়েছিল দুই শিশুর। সেই ঘটনায় বেশ কিছুদিন জেল খেটেছিল এই রিনা, তারপর জেল থেকে ছাড়া পেয়ে লকডাউনের আগেই রাজ মন্ডল নামে এক যুবককে বিয়ে করে ফের সেনডাঙ্গা বাপের বাড়ি বসবাস শুরু করে।
জমি জমা সংক্রান্ত ব্যাপারে দাদা ইন্দ্রজিৎ আর বৌদি ইলার সঙ্গে বিবাদ চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে, আজ বিকেলে দাদা না থাকার সুযোগে বৌদিকে দু’জন মিলে কুপিয়ে খুন করে। তারপর ঘরের রক্ত ধুয়ে মুছে দেহ সিমেন্টের বস্তায় ভরে বাড়ির কুয়োয় ফেলে দেয়।এই পুরো ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে বারাসত জেলা পুলিশ। এই খুনের পেছনে আর কারা কারা জড়িত আছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। এই খুনের পেছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে বারাসাত জেলা পুলিশ।