সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২২ অক্টোবর: ঠাকুর দেখতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল বোন। সঙ্গে ছিল তার বন্ধু। অভিযোগ, কয়েকজন যুবক মাঝ রাস্তায় যুবতীকে দেখে লাগাতার কটুক্তি করতে শুরু করে। বোন ও তার বন্ধু প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয়। বোনের হাত ধরে টানাহ্যাঁচড়া করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি শুনে বাঁচাতে যান দাদা। তাকে ধরেও বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। বোনের হাতে কামড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার চাঁদপাড়া এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন রাতে ডাক্তার সুমন সাহার মাসতুতো বোন অংশুমিতা পাল ও তার বন্ধু ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিল। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে যেতেই কয়েকজন যুবক তাদের কটুক্তি করে। তারা প্রতিবাদ করলে তাদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান দাদা সুমন। জানা গিয়েছে, তিনি মেডিকেল কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর। বোনকে বাঁচাতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাকেও বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় গাইঘাটা থানার পুলিশ। যদিও, সেই সময় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। পরবর্তীতে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করে আক্রান্ত যুবতী।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে তদন্তে শুরু হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আক্রান্ত যুবতী বলেন, “কালীপুজোর দিন আমি আর আমার বন্ধুরা বাইকে করে বেরিয়েছিলাম। কিছুটা আসতেই পাড়ার মোড়ে কয়েকজন ছেলে দাঁড়িয়েছিল। তারা আমার থেকে অনেক ছোট। বয়স পনেরো থেকে ষোলো বছর হবে। ওরা আমায় খারাপ খারাপ কথা বলছিল। আমার হাত ধরে টানছিল। আমার বন্ধু বাধা দিলে ওকে মারধর করে। আমার হাতে কামড়ে দেয়। আমার বন্ধুর পিঠেও কামড়ে দিয়েছে। আমি সঙ্গে সঙ্গে দাদাকে ফোন করি। আমার দুই দাদা সেখানে আসে। ওরা আমার দাদাদেরও ছাড়েনি। বেধড়ক মারধর করেছে। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আহতের পরিবার। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

