ভাঙ্গা ঘরে জ্বলল আলো সদ্য বিজয়ী সিপিএম প্রার্থীর জন্য, হাসি ফুটল জলপাইগুড়ির বৃদ্ধার মুখে

আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ১৭ জুলাই: ভাঙ্গাঘরে বসবাস, তার ওপর আলো নেই। তাই সন্ধ্যের পর অন্ধকারে থাকতে হয় জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সুকান্ত নগর কলোনির ৭৫ বছরের বৃদ্ধা সখিনা খাতুনকে। কুপির সামান্য আলোয় রাত কাটে তাঁর। দেখার কেউ নেই। অবশেষে ভোট পর্ব মিটতে সমস্যা সমাধান হল রবিবার।

এলাকায় জয়ী সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য গোঁসাই সরকারের উদ্যোগে আজ বৃদ্ধার বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হল। এই ঘটনায় খুশি ওই বৃদ্ধা পাশাপাশি গ্রামবাসীরাও। বেড়ার ঘরে একাই থাকেন তিনি। পড়শিদের বাড়িতে আলো জ্বললেও তাঁর বাড়িতে আলো নেই। বিদ্যুতের জন্য বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও কাজ হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম প্রার্থী এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন ভোট পর্ব মিটতেই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন এলাকার সিপিএম প্রার্থী। ‘রক্তে গড়া বক্রেশ্বরের আলো, ঘরে ঘরে জ্বালো’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সিপিএমের তরফে গ্রামের যেসব বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই এ দিন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হল।

জয়ী সিপিএম পঞ্চায়েত সদস্য গোঁসাই সরকার বলেন, “প্রচারে বের হয়েই নজরে পরে বৃদ্ধার বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই। সেই সময় প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় ভোটের পর বিদ্যুৎ সংযোগের ব্যবস্থা করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি পালন করা হল এ দিন।”

বৃদ্ধা সখিনা খাতুন বলেন, “তৃণমূলের কাছ থেকে কিছুই পাইনি বার বার চাওয়ার পরেও। শেষ বয়সে সিপিএম উদ্যোগে আলো পেলাম।”

সিপিএম নেতা পীযুষ মিশ্র বলেন, “এতদিন আমরা সুযোগ পাইনি কাজ করার। এখন এলাকার মানুষ সুযোগ করে দিয়েছে, এই কারণে প্রথম কাজ হল আমাদের গ্রামের যেসব বাড়িতে বিদ্যুৎ নেই এরকম সব বাড়িতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা ও খাদ্য সংকটে থাকা সকলের সমস্যা মেটানো। এই বৃদ্ধার বিদ্যুতের বিল আমরা দেব। এ দিন থেকে এই উদ্যোগ শুরু হল।”

তৃণমূল নেতা তথা খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েত প্রাক্তন উপপ্রধান সুভাষ চন্দ বলেন, “আমাদের কাছে ওই বৃদ্ধা আসেননি। যদি আমাদের কাছে আসতেন আমরাই বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিতাম। এখন সিপিএম প্রচারে আসতে এইসব করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *