রাজেন রায়, কলকাতা, ২৯ আগস্ট: বাস-অটো চালু হলেও শহরের বিভিন্ন দূরত্বে মেট্রো চালু না থাকার কারণে যেতে পারছিলেন না সাধারণ মানুষ। এদিকে গাণিতিক হিসাবে বিজ্ঞানীরা দেখিয়ে দিয়েছিলেন, ভ্যাকসিন আসুক না আসুক সেপ্টেম্বরের মধ্যে করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর সেই হিসেবেই সারাদেশের সঙ্গে রাজ্যে ৮০% মানুষ সুস্থতার দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছেন। শুক্রবার নবান্নে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠির পরেই এবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শনিবার রাতে তাদের তরফে জারি করা এক বিশেষ নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর থেকে সারাদেশে পর্যায়ক্রমে ধাপে ধাপে চালু হবে মেট্রো।
এদিকে ইঙ্গিত মিলছিল কিছুদিন আগে থেকেই।
খুব তাড়াতাড়ি যে মেট্রো চলাচল চালু হবে তা আশা করে আগে থেকেই সমস্ত প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। স্টেশনে বা টিকিট কাউন্টারে সাধারণ মানুষ কতটা দূরত্বে দাঁড়াবেন কীভাবে ট্রেনে উঠবেন, তা ইতিমধ্যেই ছকে ফেলা হয়েছে। একই সঙ্গে মেট্রো চালু হলেও কোনওভাবেই ভাড়া বৃদ্ধি হচ্ছে না।
তবে প্রাথমিকভাবে মেট্রো চালু করে মানুষের যাতায়াত দেখে নিয়ে তবেই লোকাল ট্রেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে কেন্দ্র।
কারন মেট্রোর অনেক নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় সুনিশ্চিত করা গেলেও ট্রেনের ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণভাবে সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই কোথায় কোথায় খামতি হতে পারে, তা বিবেচনা করে তারপরেই লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয় সিদ্ধান্ত নেবে রেলমন্ত্রক।
উল্লেখ্য, করোনার ধাক্কায় লকডাউনে গত ২২ মার্চ থেকে বন্ধ ছিল মেট্রো পরিষেবা। ইতিমধ্যেই দেশে সুস্থতার হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনো ভ্যাকসিন না এলেও মানুষ নিজের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেই এই মহামারীকে অনেকটাই রুখে দিতে পেরেছেন। তাই ১ সেপ্টেম্বর থেকে আনলক ফোর পর্যায় আরো কিছু নিয়মকানুন শিথিল করল কেন্দ্র। বলা হয়েছে, আগামী ২১ সেপ্টেম্বর থেকে
সামাজিক, শিক্ষামূলক, খেলা, বিনোদন, সংস্কৃতি ও ধর্মীয় সমাবেশ করা যাবে।
তবে আপাতত ১০০ জন ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে মাস্ক, দূরত্ববিধি, থার্মাল স্ক্রিনিং-এর মতো প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধি এতদিনকার মতোই বজায় থাকছে। তবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ থাকবে স্কুল-কলেজ। কনটেনমেন্ট জোন এলাকায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কঠোর লকডাউন জারি থাকবে।