রাজেন রায়, কলকাতা, ৩ ফেব্রুয়ারি: ‘বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে যে সিএএ, এনআরসি নিয়ে ভুয়ো, মিথ্যা এবং বিভাজনমূলক কথাবার্তা বলে মতুয়াদের প্রতারিত করছিল, নিম্নবর্গের তফসিলি জাতির সঙ্গে যে ভুয়ো রাজনীতি করছিল তা স্বয়ং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মঙ্গলবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তরে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন।’ তৃণমূল ভবনে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেন ব্রাত্য বসু। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ডেরেক ও ব্রায়েন। পাশাপাশি তিনি বলেন,‘রথযাত্রা করা হচ্ছে অথচ চৈতন্যদেবের নাম করা হচ্ছে না। চৈতন্যদেবকে ওরা এভাবে অপমান করতে পারেন না’ বলেও তোপ দাগেন ব্রাত্য বসু।
এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রথমেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে ব্রাত্য বসু বলেন,‘আমরা যে আশঙ্কা
করেছিলাম সেটাই সত্যি হল কাল। ব্রাত্যবসু বলেন,‘দু বছর আগে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিএএ, এনআরসি-র বিরোধিতা করে গোটা ভারতবর্ষে সেই ধ্বনি তুলেছিলেন। যারা ভোট দেন যাদের রেশন কার্ড আছে যে সম্প্রদায়ের মধ্যে থেকে কেউ বিধায়ক কেউ মন্ত্রী কেউ সাংসদ হয়েছেন, তাদের দ্বিতীয়বার করে নাগরিকত্বের ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তার নিয়ম নীতি নির্ধারণ এবং বাস্তবায়নের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যসভা সময় দিয়েছে।’ তিনি জানান, রাজ্যসভা সময় দিয়েছে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত এবং লোকসভা কমিটি সময় দিয়েছে ৯ জুলাই পর্যন্ত।’ ‘এবং এই দুটো তারিখই পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন শুরু হয়ে যাওয়ার পর ও ফল প্রকাশের পর। তার মানে নির্বাচনের আগে কোনওভাবেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের যে নিয়মনীতি বিধিগঠন কিছুতেই কেন্দ্রীয় সরকার করতে পারছেন না।’ বলেও মন্তব্য করেন ব্রাত্য বসু।
কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে ব্রাত্য বসু বলেন, ‘কোভিডের মধ্যে আপনারা পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেন দিতে পারেন না। তাদের ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারেন না। কিন্তু যারা নির্বাচনের আগে দলবদল করবে তাদের জন্য চাটার্ড ফ্লাইট পাঠাতে পারেন।’ তিনি জানান, ‘মতুয়াদের মধ্যে থেকে প্রথম মন্ত্রী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের জমির পাট্টাও মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি মতুয়া কল্যাণ বোর্ড ও নমশূদ্র কল্যাণ বোর্ড দুটোই গঠন করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’