আমাদের ভারত, হুগলী, ২৪ আগস্ট: করোনা পর্বে ফের অঙ্গদানের নজির হুগলি জেলায়। এবার ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে ভর্তি থাকা এক রোগীর ব্রেন ডেথ হওয়ায় তাঁর ফুসফুস, দুটি কিডনি, কর্নিয়া ও স্কিন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে অন্য রোগীদের শরীরে। ফুসসুস যাচ্ছে সুদূর হায়দ্রাবাদে। কলকাতা থেকে ভিন রাজ্যে ফুসফুস যাওয়ার ঘটনা এই প্রথম বলেই জানা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদ থেকে চিকিৎসকরা কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন। তাঁরা ওই অঙ্গ নিয়ে ফের উড়ে যাবেন হায়দরাবাদের উদ্দেশে।
হুগলী জেলার উত্তরপাড়ার বাসিন্দা পীযূষকান্তি ঘোষালের বয়স ৪৪ বছর। তিনি চার দিন আগে ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্সে ভর্তি হয়েছিলেন। শনিবার তাঁর ব্রেন ডেথ হয় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তার পরেই পরিবারকে অঙ্গদানের কথা বলা হয়। তাতে সম্মতি দেয় পরিবারও।
জানা গিয়েছে, ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির দুটি কিডনি ও ত্বক প্রতিস্থাপিত হবে এসএসকেএমে চিকিৎসাধীন একাধিক রোগীর শরীরে। কর্নিয়া যাচ্ছে শঙ্কর নেত্রালয়ে। ফুসফুস যাচ্ছে ভিন রাজ্যে। হৃদপিণ্ড ও লিভার ব্যবহার করার মতো অবস্থায় নেই বলে জানাগেছে। গত সপ্তাহেই কোভিড পর্বে প্রথম অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ঘটনা ঘটেছিল। ভাটপাড়ার বাসিন্দা, পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ সংগ্রাম ভট্টাচার্য কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে সম্প্রতি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হন। তারপর তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল অ্যাপোলো হাসপাতালে। সেখানে তাঁর ব্রেন ডেথ হওয়ায় সংগ্রামের অঙ্গদানের সিদ্ধান্ত নেয় তাঁর পরিবার।
তাঁর কিডনি দেওয়া হয় লিলুয়ার এক যুবককে। হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপন করা হয় নারায়ণা হাসপাতালে ভর্তি ১৭ বছরের কিশোরীর শরীরে। তরুণ সংগ্রামের চোখ দান করা হয় দিশা আই হসপিটালে। গত দেড়-দু’বছরে কলকাতায় একাধিক অঙ্গদানের নজির তৈরি হয়েছে। পুজোর মধ্যেও গ্রিন করিডোর করে শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত পর্যন্ত ব্রেন ডেথ হওয়া ব্যক্তির অঙ্গ নিয়ে গিয়ে প্রতিস্থাপিত করা হয়েছে মৃত্যু পথযাত্রীদের শরীরে। কোভিড পর্বেও সেই নজির জারি থাকছে রাজ্যে।

