TMC, Nanur, তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খু*ন বুথ সভাপতি, চাঞ্চল্য নানুরের পাতিসাড়া গ্রামে

আশিস মণ্ডল, আমাদের ভারত, বোলপুর, ৬ ডিসেম্বর: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে খুন হলেন দলেরই বুথ সভাপতি। তাকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় জখম আরো চারজন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের নানুর থানার পাতিসাড়া গ্রামে। নিহতের নাম রাসবিহারী সর্দার (৫২)। তিনি নানুরের থুপসরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাতিসাড়া গ্রামের তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতি ছিলেন। তিনি কাজল শেখ ঘনিষ্ঠ বলে দাবি পরিবারের। অপর গোষ্ঠী অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ করিম খানের লোক বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার রাতে নানুরের বাসাপাড়া তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাদের উপর আক্রমন হয় বলে দাবি কাজল গোষ্ঠীর। ঘটনাস্থলেই রাসবিহারী সর্দারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও শাবল দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাসবিহারী সর্দারের সঙ্গে থাকা আরো চার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীকেও বেধড়ক মারধর করা হয়েছে।

নিহতের ছেলে মানস সর্দার বলেন, “যারা তার বাবাকে পিটিয়ে খুন করেছে তারা অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ট কেরিম খানের গোষ্ঠীর লোকজন। তারা প্রায়ই ফোন করে তার বাবাকে অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর লোকজনদের সঙ্গে দল করতে হুমকি দিত। এমনকি অনুব্রত মণ্ডলের গোষ্ঠীর দলে যোগ না দিলে খুনেরও হুমকি দিত তারা। শুক্রবার বাসাপাড়া পার্টি অফিস থেকে বেড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলাম। গ্রামের কাছে ওরা আমার বাবা এবং দলের আরও চার কর্মীকে ধরে মারধর শুরু করে। বাবাকে বাঁচাতে গেলে আমাকেও মারধর করে। বাবাকেও ওরা লোহার রড এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনার পর এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নানুর সহ বেশ কয়েকটি থানার পুলিশ। সারারাত গ্রামে চলে পুলিশের টহলদারি। পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে।

বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শ্যামাপদ মণ্ডল বলেন, “খুন, রাহাজানি তৃণমূলের সংস্কৃতি। বামফ্রন্ট আমলে ওরা ১১ জন খেতমজুরের মৃতদেহকে সামনে রেখে ক্ষমতায় এসেছিল। এখন নিজেরাই নিজেদের খুন করেছে। এখন মানুষ বুঝতে পারছে কাদের ক্ষমতায় নিয়ে এসেছে। ২০২৬- এ মানুষ এদের ছুঁড়ে ফেলে দেবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *