আমাদের ভারত, মেদিনীপুর, ১১ ডিসেম্বর: আজ সারা রাজ্যের সাথে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি বিধানসভা এলাকার বিধায়ক বিধায়িকাগণ নিজের নিজের এলাকায় রাজ্য সরকার বিগত ১০ বছর ধরে সাধারণ মানুষের জন্য যে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন। এদিন সবংয়ের হরিহাট স্কুল থেকে বঙ্গধ্বনি যাত্রা শুরু করে ৬ কিলোমিটার পদযাত্রা করেন মানস ভুঁইঞা। উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক গীতা রানী ভু্ঁইঞা, আবু কালাম বক্স সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।
মানস ভুঁইঞা জানান, কৃষিতে বাংলা প্রথম সারিতে রয়েছে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ৬৭টি প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। কিছু মানুষ উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে বাংলাকে কালিমালিপ্ত করতে চাইছেন। তবে তাঁদের উদ্দেশ্যে সফল হবে না। তৃণমূল সরকারের দশ বছরের রিপোর্ট কার্ড বাংলার প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে সাংবাদিক সন্মেলন এবং মিছিল করে শুরু হল ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রার প্রচার অভিযান।
আজ পিংলা বিধানসভার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ড: সৌমেন কুমার মহাপাত্র মহাশয় গত দশ বছর ধরে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল সরকার কী কাজ করেছে বাংলার মানুষের জন্যে, তার যাবতীয় খতিয়ান তুলে ধরলেন এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে এবং ‘বঙ্গধ্বনি’ যাত্রার প্রচার অভিযান নিয়ে একটি সাংবাদিক সম্মেলন করলেন। পাশাপাশি খড়্গপুর শহরের বিধায়ক প্রদীপ সরকারের নেতৃত্বে একটি বাইক মিছিল সারা শহর প্রদক্ষিণ করে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন মূলক কাজের প্রচার করে। তাছাড়া সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারের উন্নয়ন এবং খড়্গপুর শহরের জন্য কি কি কাজ করা হয়েছে তার খতিয়ান তুলে ধরেন। এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক প্রদীপ সরকার, তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র দেবাশীষ চৌধুরী, সভাপতি রবি পান্ডে, শহর যুব সভাপতি অসিত পাল, হেমা চৌবে সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি কেশপুর বিধানসভা এলাকায় জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মহঃ রফিকের সাধারণ মানুষের দুয়ারে সরকারের বিগত ১০ বছরের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড পৌঁছে দেয়।