(ছবি: ভাদুর সঙ্গে লালন)
আশিস মণ্ডল, রামপুরহাট, ১২ ডিসেম্বর: সিবিআই হেফাজতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হল বগটুই গণহত্যা কাণ্ডের মূল অভিযুক্ত লালন শেখের। সোমবার সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ে। তবে এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বীরভূম জেলা পুলিশ ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২১ মার্চ ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে বগটুই মোড়ে বোমা মেরে খুন করা হয় বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তৃণমূলের ভাদু শেখকে। খুনের বদলা নিতে ওই রাতেই বগটুই গ্রামের একাধিক বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আগুনে পুড়ে মৃত্যু হয় ১০ জনের। তাদের মধ্যে ৯ জন মহিলা। ঘটনার পরদিন রাজ্য সরকার সিট গঠন করে। দুদিন পর হাইকোর্টের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত হাতে নেয় সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লক সভাপতি আনারুল হোসেনকে। সিবিআই তদন্ত হাতে নেওয়ার পর ২১ জুন প্রাথমিক চার্জশিট জমা দেয়। ওই চার্জশিটে লালন শেখকে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মূল অপরাধী হিসেবে লেখা হয়। অন্যদিকে ভাদু শেখ খুনের প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবেও তার নাম ছিল। কারণ লালন ছিল ভাদুর ছায়াসঙ্গী। ভাদুকে খুনের সময় লালন পাশেই ছিল বলে জানা গিয়েছে। ফলে লালনের রহস্যজনক মৃত্যু বগটুই কাণ্ডে বহু তথ্য অজানা থেকে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ঘটনার আট মাস পর ৩ ডিসেম্বর লালনকে ঝাড়খণ্ডের নরোত্তমপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরদিন রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তুলে ছয় দিনের হেফাজতে নেয় সিবিআই। গত শনিবার ফের আদালতে তুলে তিনদিনের হেফাজতে নেয় সিবিআই। মঙ্গলবার তাকে ফের আদালতে তোলার কথা ছিল। তার আগেই লালনের রহস্যজনক মৃত্যু অনেক প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে।