আমাদের ভারত, জলপাইগুড়ি, ৯ এপ্রিল: জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধীনে থাকা সুপার
স্পেশালিটি হাসপাতালের মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হলো। ঘটনায় হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মৃতদেহে রীতিমতো পচন ধরে গিয়েছে। চার থেকে পাঁচ দিন ধরে শৌচালয়ে ঝুলেছিল মৃতদেহটি বলে অনুমান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কোতোয়ালি থানার পুলিশ ও দমকল বাহিনী পৌঁছোয়।
দশতলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ৪ তলায় রয়েছে মেল মেডিক্যাল ওয়ার্ড। সেই ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিলো এদিন। সাফাই কর্মীরা দেখেন শৌচাগারের দরজা বন্ধ। এরপরেই দেখা যায় শৌচাগারের জানালায় গলায় ফাঁস দিয়ে এক ব্যক্তি ঝুলে রয়েছে। খবর দেওয়া হয় দমকল ও পুলিশকে। দমকল বাহিনীর এসে শৌচাগারের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রশ্ন উঠছে, হাসপাতালে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। সমস্ত গেটে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকে ২৪ ঘন্টা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, মৃত ব্যক্তি তাদের হাসপাতালের রোগী নয়। তাহলে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে কি করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো? হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের না বলে কেউ হাসপাতালে প্রবেশ করতে পারেন না৷ তাহলে একজন ব্যক্তি কি করে ভেতরে ঢুকে এই কান্ড ঘটালো তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও মৃতের নাম ও পরিচয় এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতাল সুত্রের খবর, পুলিশকে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত করতে৷ অন্যদিকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।