স্বরূপ দত্ত, আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১২ ফেব্রুয়ারি : গলায় ফাঁস লাগানো এক ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে রায়গঞ্জ থানার মহিষবাথান গ্রামে। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম ললিত বর্মন ( ৫৭), বাড়ি ওই এলাকাতেই।
স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে, রায়গঞ্জ থানার মহিষবাথান গ্রামের বাসিন্দা ললিত বর্মন চলতি মাসের ৭ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিলেন। ললিতবাবু পেশায় শ্রমিক ছিলেন। ললিতবাবু ওই দিন বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা ললিতবাবুকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ললিতবাবুর কোনও খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের সদস্যরা রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। রবিবার সকালে মহিষবাথান গ্রামের মানুষ স্থানীয় একটি জঙ্গলে একটি মৃতদেহ দেখতে পায়।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই গ্রামের বহু মানুষ মৃতদেহটি দেখতে ছুটে আসেন। জঙ্গলের মধ্যে মৃতদেহটি দেখতে পেয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। কে বা কারা কী কারনে ললিতবাবুকে খুন করছে তা তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব বর্মন জানিয়েছেন, ললিত বর্মন খুব ভালো মানুষ ছিলেন। যারা ললিত বর্মনকে খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শান্তির দাবী জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী পুলন বর্মন জানিয়েছেন, ললিত বর্মন শ্রমিকের কাজ করতেন। ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ললিত বর্মনের বাড়ির থেকে ৫০০ মিটার দূরে তার মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে। ললিত বর্মনকে খুন করা হয়েছে। যারা ললিত বর্মনকে খুন করেছে তাদের উপযুক্ত শান্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।