সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগণা, ২৬ জুলাই: চোরা পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে বাগদা এলাকায় বসবাস করছিল এক যুবক। পরে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার বাগি গ্রাম এলাকায় থাকতে শুরু করেন ওই বিএনপি নেতা। স্থানীয় এক তরুণীকে বিবাহ করে সংসারও করছিলেন। নিজের শাশুড়িকে মা পরিচয় দিয়ে এদেশের ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে প্রায় ৩০ বছর ধরে বসবাস করছিল বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত রেজাউল মণ্ডল বাংলাদেশ চলে গিয়েছেন কয়েক মাস আগে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে ভুয়ো পরিচয়পত্র বানিয়ে থাকতে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার স্ত্রী’কে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, প্রায় ৩০ বছর আগে রেজাউল সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ভারতে এসেছিলেন। বাগদার বাগি গ্রাম এলাকার বাসিন্দা শেরফুল মণ্ডলকে বিবাহ করেছিলেন তিনি। যদিও স্বামী যে বাংলাদেশি, সেই কথা স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানতেন না বলেই দাবি করা হয়েছে। পরে আসল কথা জানার পর নকল পরিচয়পত্র বানানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। শ্বাশুড়িকে ‘মা’ পরিচয়ে বানানো হয়েছিল নকল পরিচয়পত্র। রেজাউল এপারে ভোটও দিয়েছেন বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, রেজাউলের আসল বাড়ি বাংলাদেশের ঝিনাইদল গ্রামে। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি ওই দেশে গিয়েছেন বলে খবর। সম্প্রতি রিজাউলের ছেলে ফিরোজ একটি মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। সেই তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে রিজাউল ও তার ছেলে ফিরোজ বাংলাদেশি। এরপর বিডিওর কাছেও এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হয়। বাগদা থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নামে।
রেজাউলের স্ত্রী জানিয়েছেন, ৩০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল। পুলিশ শেরফুল মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। আজ, শনিবার ধৃতকে বনগাঁ আদালতে তোলা হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।